গত বছরই শুটিং শুরু হয়েছিল এই ছবির। চলতি বছরের প্রথমার্ধে শুটিং শেষ হয়। ‘জানে জা’ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে এর আগে পরিচালক সুজয় ঘোষ জানিয়েছেন, ‘জানে জা’ এমন একটা বইয়ের ওপর ভিত্তি করে তৈরি, যা দীর্ঘদিন ধরে আমার জীবনের প্রেম। যেদিন থেকে আমি ‘ডিভোশন অব সাসপেক্ট এক্স’ পড়েছিলাম, সেদিন থেকে এটি নিয়ে সিনেমা বানানোর স্বপ্ন তৈরি হয়েছিল আমার মনে। দারুণ এক প্রেমের গল্প এটি। আর এটি কারিনার কারণে তা জীবন্ত হয়ে ওঠেছে।
এরইমধ্যে দর্শকের মন কেড়েছে সুজয় ঘোষ পরিচালিত ছবিটির ট্রেলার। ভারতের কালিম্পংয়ে সেট করা ছবিটিতে কারিনার চরিত্র মায়া ডি সুজাকে ঘিরে আবর্তিত হয়েছে। এখানে কারিনাকে ডিভোর্সি, সিঙ্গেল মাদারের চরিত্রে দেখা যাবে। যার প্রাক্তন স্বামী তাকে বার বার উত্যক্ত করতে থাকে। প্রাক্তন স্বামী আচমকা এক সন্ধ্যাবেলায় তার সামনে আসে। পুলিশি তদন্ত চলাকালীন এক প্রতিবেশীর সহায়তায় স্বামীকে খুন করে কারিনা অভিনীত চরিত্রটি। এরপর কী হয়, তা জানতে গেলে দেখতে হবে এই ছবি।
‘জানে জা’র প্রমো শেয়ার করে সুজয় ঘোষ টুইট করেছেন, ‘কারিনার সঙ্গে কাজ করতে পেরে আমি গর্বিত বোধ করছি, তার কাজের প্রতি একনিষ্ঠতা মুগ্ধ করার মতো। লক্ষ্মীকান্ত-প্যায়ারেলালের যাদুতে, লতা মঙ্গেশকরের মায়াবী কণ্ঠে, হেলেনের সেই বিখ্যাত ‘আ জানে জা’ নাচ-গান আজও কেউ ভুলেনি। ছবির নাম ‘ইন্তেকাম’। এখনো সেই গান শুনলে সবার মনে শিহরণ জাগে। আজ অবধি বহু কভার, রিমিক্স-সহ বহু এক্সপেরিমেন্ট হয়েছে। তবুও আজও প্রাণবন্ত-অফুরন্ত সেই গান। সেই সৃষ্টি। এবার আরও একবার মায়াবী মোড়কে, ওই গানের টাইটেলকেই সামান্য বদলে, নেটফ্লিক্সে ‘জানে জা’ ছবিটি আসছে। টিজারে দেখা গেছে, কারিনা কাপুরের চরিত্রটি নিয়ন আলোসহ একটি অন্ধকার ঘরে বসে ‘জানে জা’ গানটি গাইছে। যে নিজের প্রতিবেশীর সাহায্য নিয়ে প্রাক্তন স্বামীর খুনের ঘটনাটি লুকানোর চেষ্টা করে। এই ছবির প্রমোতে দেখা যায়, মেয়েকে বাঁচাতে মরিয়া হয়ে ওঠেছেন কারিনা। তার জন্য প্রবল কসরতও করতে হচ্ছে তাকে।
ফলে এই প্রমো দেখেই বোঝা যাচ্ছে রীতিমত শিহরণ জাগাতে চলেছে এই ছবি। এখানে নিজের কাজের অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে কারিনা জানিয়েছেন, আমি সবসময় নতুন কিছু করার চেষ্টা করি। যখন সুজয় আমাকে ছবিটির প্রস্তাব দিয়েছিলেন এবং কাস্টের কথা বলেছিলেন, তখন আমি এতে লাফিয়ে পড়ি। শেষবার সেই ‘লাল সিং চাড্ডা’য় দেখা মিলেছে কারিনার। বড়পর্দায় আমির খানের সঙ্গে জুটি বেঁধে তৈরি সেই সিনেমা খুব বাজেভাবে ফ্লপ করে। আর তারপরই ওটিটি-তে পা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন বেবো। বাঙালি পরিচালক সুজয় ঘোষের হাত ধরে ওয়েবের জগতে করিনা। ছবিতে কাজ করার অভিজ্ঞতা সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে কারিনা বলেন, ‘আমি সবসময় নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।’