• facebook
  • twitter
Monday, 25 November, 2024

কামদুনি মামলার শুনানি স্থগিত, সব পক্ষকে নোটিস দিয়ে জবাব তলব সুপ্রিম কোর্টের 

দিল্লি, ২ জানুয়ারি –  কামদুনি মামলার শুনানি স্থগিত হয়ে গেল সুপ্রিম কোর্টে। বিচারপতি বিআর গাভাই ও সন্দীপ মেহতার বেঞ্চ মামলায় জড়িত সব পক্ষকে নোটিস দিয়ে জবাব তলব করেছে। কামদুনিকাণ্ডে মৃতার ভাই সুপ্রিম কোর্টে পৃথক এসএলপি করেন। মঙ্গলবার সকাল থেকে সেই মামলার শুনানি হয়। ওই মামলায় মামলাকারীর কাছে হলফনামা চেয়েছে আদালত। হলফনামার পরই হবে মামলার পরবর্তী শুনানি। তবে দোষীদের ফের গ্রেফতারির দাবিতে নারাজ শীর্ষ

দিল্লি, ২ জানুয়ারি –  কামদুনি মামলার শুনানি স্থগিত হয়ে গেল সুপ্রিম কোর্টে। বিচারপতি বিআর গাভাই ও সন্দীপ মেহতার বেঞ্চ মামলায় জড়িত সব পক্ষকে নোটিস দিয়ে জবাব তলব করেছে। কামদুনিকাণ্ডে মৃতার ভাই সুপ্রিম কোর্টে পৃথক এসএলপি করেন। মঙ্গলবার সকাল থেকে সেই মামলার শুনানি হয়। ওই মামলায় মামলাকারীর কাছে হলফনামা চেয়েছে আদালত। হলফনামার পরই হবে মামলার পরবর্তী শুনানি। তবে দোষীদের ফের গ্রেফতারির দাবিতে নারাজ শীর্ষ আদালত।

নির্যাতিতার পরিবারের বক্তব্য, ৮ অভিযুক্তের পাশাপাশি রাজ্য সরকারকেও জবাবদিহি করতে হবে। এজন্য শীর্ষ আদালতে আবেদন জানান তাঁরা। মঙ্গলবার সেই মামলার প্রথম শুনানি শুরু হয়েও মুলতুবি হয়ে যায়। শীর্ষ আদালতের তরফে মামলায় জড়িত সবাইকে নোটিস জারি করা হয়। অভিযুক্ত ৮ জনের পাশাপাশি রাজ্য সরকারকেও নোটিস দেয় শীর্ষ আদালত। 
শীর্ষ আদালতে মামলা স্থগিত হয়ে যাওয়ার পর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক, রাষ্ট্রপতি ভবন ও প্রধানমন্ত্রীর দফতরে চিঠি দিতে যান কামদুনির নির্যাতিতার পরিবার ও প্রতিবাদী মানুষ । তাঁদের বক্তব্য, রাজ্য সরকারের গাফিলতিতেই দোষীরা ছাড়া পেয়ে গিয়েছে।

কামদুনিকাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত ৬ জনের মধ্যে চার জনকে মুক্তি দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট। তথ্যপ্রমাণের অভাবে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এক জনকে বেকসুর খালাস করা হয়। বাকি ২ জন সাজাপ্রাপ্তের মৃত্যুদণ্ড রদ করে আমৃত্যু কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়। কলকাতা হাই কোর্টের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যান নির্যাতিতার ভাই এবং পরিবারের লোকজন এবং প্রতিবাদীরা। সেই মামলারই শুনানি শুরু হয় মঙ্গলবার।
 
২০১৩ সালের ৭ জুন পরীক্ষা দিয়ে কামদুনির বাড়িতে ফিরছিলেন রাজারহাট ডিরোজিও কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। বাস থেকে নেমে পায়ে হেঁটে বাড়ি ফেরার পথ ধরেন তিনি। সেই সময় নির্জন রাস্তা থেকে তাঁকে জোর করে পাঁচিল ঘেরা একটি ঘরে নিয়ে যায় ৯ জন দুষ্কৃতী। সেখানে দফায় দফায় গণধর্ষণ করা হয় ওই তরুণীকে। নির্যাতনের পর ছাত্রীকে একটি ভেড়িতে ফেলে দিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। বাড়ি না ফেরায় মেয়ের খোঁজখবর শুরু করেন পরিবারের লোকেরা। গ্রাম থেকে প্রায় ৩ কিলোমিটার দূরে  ভেড়ি এলাকায় একটি পাঁচিলের পাশে  ক্ষতবিক্ষত ছাত্রীর মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন তাঁরা। এই ঘটনার প্রতিবাদে রাজ্যজুড়ে তীব্র ধিক্কার ওঠে। রাজ্য পুলিশের কাছ থেকে তদন্তভার তুলে দেওয়া হয় সিআইডির হাতে। তদন্তভার নেওয়ার পর সিআইডি অভিযুক্ত ৮ জনকে গ্রেপ্তার করে।
গত বছরের ৬ অক্টোবর কামদুনি গণধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় ফাঁসির সাজা রদ করা হয়। তার বদলে আমৃত্যু কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাই কোর্ট। দোষী আনসার আলি মোল্লা এবং সইফুল আলি মোল্লার সাজা লঘু করে আমৃত্যু কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয় আদালত। বেকসুর খালাস দেওয়া হয় আমিন আলি, ইমানুল হক, ভোলানাথ নস্কর এবং আমিনুর ইসলামকে। হাইকোর্টের এই নির্দেশ মেনে নিতে পারেনি নির্যাতিতার পরিবার-প্রতিবাদীরা। মেনে নেয়নি রাজ্যও।  কলকাতা হাই কোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় নির্যাতিতার পরিবার। রাজ্য সরকারও শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়। রাজ্য হাইকোর্টের রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়।