কলকাতা,২ ফেব্রুয়ারী — ২০১৬ সালের শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলা নিয়ে বৃহস্পতিবার শুনানি ছিল কলকাতা হাইকোর্টে।সম্ভবত এই সমস্ত মামলার শুনানি আগে অনেক দিন পর পর হতো। কিন্তু বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শেষ দেখে ছাড়ার পান নিয়েছেন। তিনি দিনের পর দিন নিজের পারফমেন্স দিয়ে যেন সবাইকে চমকে দিচ্ছেন।
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে তদন্তের ভার দেওয়া হয়েছে সিবিআই এর হাতে। কিন্তু তদন্ত যেহারে ধীর গতিতে এগোচ্ছে তাতে বেজায় চটেছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। বুধবার বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বিস্ময়ের সঙ্গে প্রশ্ন করেছিলেন, এত দুর্বৃত্ত পাশে নিয়ে দিদি সরকার চালাচ্ছেন কী করে? বৃহস্পতিবারই তাঁর আবার অন্য মেজাজ।তদন্তের গতি ক্রমশ স্লো হয়ে যাওয়ায় সিবিআই অফিসারদেরও সন্দেহের আওতায় এনেছেন তিনি। এদিন তিনি বলেন, “দরকার হলে সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসারদের সম্পত্তির হিসাব চাইব। তাঁরা যদি সতর্ক হয়ে কাজ না করেন তা হলে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখব।”
সিবিআই-ইডি অফিসাররাও সন্দেহের ঊর্ধ্বে থাকেন না। তাঁদের বিরুদ্ধেও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। যেমন সিবিআইয়ের প্রাক্তন কর্তা রাকেশ আস্থানার বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ করেছিলেন কেন্দ্রীয় তদন্ত এজেন্সিরই অধিকর্তা। অনেকের মতে, এদিন সম্ভবত সেই সন্দেহই প্রকাশ করে হুঁশিয়ার করতে চেয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
জানা গিয়েছে, ২০১৬ সালের দুর্নীতি কাণ্ডের ব্যাপারে ১০ ফেব্রুয়ারি কলকাতা হাইকোর্টে প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্ট পেশ করবে সিবিআই।