• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

শুভেন্দুর দুটি মামলা থেকে সরে দাঁড়ালেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্না  

কলকাতা , ৪ মে – মামলা অযথা দীর্ঘায়িত করা হচ্ছে, তাই হস্তক্ষেপের আরজি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য। কিন্তু মামলা দুটি ফের হাইকোর্টে ফেরত পাঠায় শীর্ষ আদালত। দ্রুত শুনানির নির্দেশও দেয় সুপ্রিম কোর্ট। এ বার শুভেন্দু অধিকারীর সেই দুটি মামলা থেকে সরে দাঁড়ালেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। মামলা নিয়ে বৃহস্পতিবার অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিচারপতি। হাইকোর্টে ৫৩ জন

কলকাতা , ৪ মে – মামলা অযথা দীর্ঘায়িত করা হচ্ছে, তাই হস্তক্ষেপের আরজি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য। কিন্তু মামলা দুটি ফের হাইকোর্টে ফেরত পাঠায় শীর্ষ আদালত। দ্রুত শুনানির নির্দেশও দেয় সুপ্রিম কোর্ট। এ বার শুভেন্দু অধিকারীর সেই দুটি মামলা থেকে সরে দাঁড়ালেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। মামলা নিয়ে বৃহস্পতিবার অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিচারপতি। হাইকোর্টে ৫৩ জন বিচারপতি থাকা সত্ত্বেও অন্য কোর্টের ছেড়ে দেওয়া মামলা কেন বারবার তাঁর এজলাসেই আসছে, তা নিয়ে বিরক্ত তিনি । পাশাপাশি, রাজ্যও অনেক ক্ষেত্রে মামলা দীর্ঘায়িত করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিচারপতি মান্থা ।
এই মামলা দু’টির দ্রুত শুনানির আর্জি প্রসঙ্গে বিচারপতি মান্থার পর্যবেক্ষণ, শীর্ষ আদালতে রাজ্যের আবেদন দেখে মনে হচ্ছে, মামলাকারীর জন্যই যেন শুনানিতে দেরি হচ্ছে। কিন্তু এই আদালত দেখেছে যে কোনও পক্ষই দ্রুত শুনানিতে আগ্রহী নয়। তাঁর মন্তব্য, ‘‘দীর্ঘ শুনানি করার সময় এই এজলাসের নেই, আদালতে আরও ৫৩ জন বিচারপতি রয়েছেন। অন্য কোনও এজলাসে মামলা পাঠানো হোক।’’ 

তাঁর বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা করে হেনস্থা করা হচ্ছে, এই অভিযোগ তুলে বিরোধী দলনেতা দুটি পৃথক মামলা করেছিলেন কলকাতা হাইকোর্টে। দুটি ক্ষেত্রেই বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা নির্দেশ দেন, আদালতের অনুমতি ছাড়া শুভেন্দুর বিরুদ্ধে নতুন কোনও এফআইআর করা যাবে না। 

প্রসঙ্গত, এই দুটি মামলার মধ্যে একটি কাঁথি সমবায় সমিতিতে দুর্নীতি মামলা। যে মামলায় আগেও আরও এক বিচারপতি সরে দাঁড়ান। বিচারপতি পার্থসারথি সেন সরে দাঁড়ানোর পর মামলা যায় বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে। এবার তিনিও এই মামলা থেকে সরে দাঁড়ালেন।

অন্যদিকে, গত বছর ডিসেম্বরে কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বেঞ্চ শুভেন্দুর বিরুদ্ধে রাজ্য পুলিশের দায়ের করা ২৬টি এফআইআর-এ স্থগিতাদেশ দেয়। শুভেন্দুর বিরুদ্ধে নতুন মামলা করতে গেলেও আদালতের অনুমতি নিতে হবে বলে হাই কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল। তার বিরুদ্ধে হাই কোর্টের অন্য বিচারপতির কাছে আর্জি জানিয়ে সুরাহা না-পেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য সরকার। তার প্রেক্ষিতে শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ জানায়, রাজ্য সরকারকে আগের নির্দেশে রদবদলের জন্য হাই কোর্টেই আবেদন জানাতে হবে।

এদিকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে নগর দায়রা আদালতে মানহানির মামলা দায়ের করেছে কলকাতা পুলিশ। পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের হয়ে এই মামলা দাখিল করে কলকাতা পুলিশ। কালীঘাটে একটি বাসকে কেন্দ্র একটি টুইট করেন বিরোধী দলনেতা। মন্তব্য করেন পুলিশ কমিশনারের ভূমিকা নিয়েও। তার প্রেক্ষিতেই এই মামলা করেছে পুলিশ।