২০১৬ সালে প্রাথমিকে নিয়োগ হয়েছিল মোট ৪২,৫০০। এর মধ্যে ৬৫০০ জনকে নিয়ে গোড়া থেকেই কোনও বিতর্ক নেই। অভিযোগ ওঠে, নিয়ম মেনে এই নিয়োগ হয়নি। যোগ্য প্রার্থীদের বঞ্চিত করে চাকরি পেয়েছেন ‘অযোগ্য’রা। সেই নিয়ে মামলা হয়। গত ১২ মে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, ৩৬ হাজার নিয়োগ বেনিয়মে হয়েছে। ফলে তাঁদের চাকরি বাতিল করতে হবে পর্ষদকে।
বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের চাকরি বাতিলের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। সোমবার বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে সেই মামলা করা হয়। মঙ্গলবার মামলার শুনানির শুরুতে বিচারপতি তালুকদার বলেন, ‘‘একক বেঞ্চ তো আবার নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়ার সুযোগ দিয়েছে। কাউকে তো নেকড়ের সামনে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়া হয়নি। তা হলে সমস্যা কোথায়?’’
চাকরি হারিয়েছেন যাঁরা, তাঁদের আইনজীবীরা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে জানান, আদালতের নির্দেশেই নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআই। তাদের তদন্তের রিপোর্টে এখনও এমন কোনও তথ্য উঠে আসেনি, যার ভিত্তিতে ৩২ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল হয়ে যাবে। তাঁদের আত্মপক্ষ সমর্থনের কোনও সুযোগ দেওয়া হয় নি। আরও বলা হয়, পর্ষদের সেই সময়কার বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্ট উল্লেখ আছে, নিয়োগের ২ বছরের মধ্যে প্রশিক্ষণ নিতে হবে প্রার্থীদের। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ীই অপ্রশিক্ষিত হিসাবে চাকরিতে যোগ দিয়েছিলেন তাঁরা। ফলে এ ক্ষেত্রে আইন ভেঙে কোনও নিয়োগ হয়নি বলে দাবি একাংশের।