বালুরঘাট , ৮ এপ্রিল – চার আদিবাসী মহিলাকে দণ্ডি কাটিয়ে তৃণমূলে ফেরানোর ঘটনায় উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি। শুক্রবার রাতে বালুরঘাটের তৃণমূল পার্টি অফিসে দন্ডি কেটে দলে ফেরানো হয় চার মহিলাকে। তাদের অপরাধ, বিজেপি ছেড়ে তারা তৃণমূলে যোগ দেয়। এই ঘটনার পর রাজ্য জুড়ে তোলপাড় শুরু হয়।
শুক্রবার রাতে দণ্ডি কেটে জেলা তৃণমূল কার্যালয়ে পৌঁছন তিন মহিলা। এরপরই তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন মহিলা তৃণমূল জেলা সভানেত্রী প্রদীপ্তা চক্রবর্তী। প্রদীপ্তা বলেন, “তপনের ১১ নম্বর গোফানগর অঞ্চলের সাধারণ মানুষকে ভুল বুঝিয়ে বিজেপি পতাকা তুলে দিয়েছিল। সেই মহিলারাই ভুল বুঝতে পেরে প্রায়শ্চিত্ত করার জন্য বালুরঘাট কোর্ট মোড় থেকে দণ্ডি কাটতে কাটতে জেলা পার্টি অফিসে এসেছেন।” যদিও তৃণমূলের জেলা সভাপতি বলেন, “দলীয় নেতৃত্বকে অন্ধকারে রেখে এটা করা হয়েছে। এই ঘটনা সমর্থনযোগ্য নয় ।”
চার মহিলা মার্টিনা কিস্কু, শিউলি মার্ডি, ঠাকরণ সরেন ও মালতি মুর্মু। শুক্রবার এই চারজনই বালুরঘাট শহরের কোর্ট মোড় থেকে দণ্ডি কাটতে কাটতে তৃণমূলের জেলা কার্যালয়ে আসেন। সেখানেই তাঁরা তৃণমূলে যোগদান করেন।
এই ঘটনার সমালোচনা করে শুক্রবার রাতেই টুইট করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বলেন, “জোর করে বিজেপি থেকে তৃণমূলে নিয়ে গিয়েছে। আদিবাসী মহিলাদের যেভাবে অপমান করা হল, তা সম্পূর্ণ আদিবাসী সমাজের অপমান। তৃণমূল আদিবাসী বিরোধী।” রাজ্যের মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদাও এর তীব্র নিন্দা করে বলেন, “বিজেপিতে গিয়েছেন, পরে দণ্ডি কেটে ফিরে এসেছেন, এটা আমি কখনওই সমর্থন করি না। কেউ ভুল করলে, প্রায়শ্চিত্ত করতে দলে ফিরে আসতে চাইলে, স্বাগত জানাব। কিন্তু ১ কিলোমিটার দণ্ডি কেটে এটা কখনই সমর্থন করি না।”