বাড়িতে শৌচাগার না থাকার মাসুল, মাটিতে ঢুকে গেলেন ৩ মহিলা

ধানবাদ, ১৮ সেপ্টেম্বর–  বাড়িতে শৌচাগার না থাকার মাসুল গুনতে হল ৩ মহিলাকে। প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বাইরে বেরোতেই জ্যান্ত সমাধি হল ১ মহিলার। তাঁর চিৎকারে বাঁচাতে ছুটে এসেছিলেন আরও দুই মহিলা। কিন্তু তাঁকে বাচানো তো দূর, উল্টে ধসে যাওয়া মাটির ভিতর তলিয়ে গেলেন বাকি দুজনও। জীবন্ত অবস্থায় চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে ৩ জনেরই।

মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়খণ্ডের ধানবাদে । মৃত তিন মহিলা হলেন পার্লা দেবী, ঠানডি দেবী এবং মাণ্ডব দেবী। ৩ জনেরই বাড়ি গন্ডুডি কয়লাখনির কুলহি এলাকায়। কয়লাখনি এলাকা হওয়ায় মাটির নীচে কাজ চলার কারণে এমনিতেই ওই এলাকায় ভূমিধসের প্রবণতা রয়েছে। মাঝেমধ্যেই আগুন লেগে যাওয়ারও খবর পাওয়া যায়।

জানা গিয়েছে, দিন যখন ওই মহিলারা শৌচকর্ম করার জন্য বাড়ির বাইরে গিয়েছিলেন সেই সময় বিকট আওয়াজ করে ধস নামে আচমকাই। তাতেই তলিয়ে যান ওই ৩ মহিলা । প্রবল আওয়াজ শুনে গ্রামবাসীরা ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়েছিলেন। কিন্তু চোখের সামনে তিনজনকে তলিয়ে যেতে দেখেও বাঁচাতে পারেননি তাঁরা।


ওই কয়লাখনি থেকে কয়লা উত্তোলনের দায়িত্বে রয়েছে কোল ইন্ডিয়া লিমিটেডের বিসিসিএল। স্থানীয়দের অভিযোগ, খবর পেয়েও অনেক দেরিতে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছায় পুলিশ এবং বিসিসিএল-এর উদ্ধারকারী দল। তাঁদের আরও অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে বলা সত্ত্বেও বিসিসিএল-এর তরফে ওই ধসপ্রবণ এলাকায় বসবাসকারী মানুষকে পুনর্বাসন দেওয়া হয়নি। সেই কারণেই এমন মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটল বলে দাবি তাঁদের।বর্তমানে ঘটনাস্থলে বিপুল সংখ্যক পুলিশ এবং সিআইএসএফ আধিকারিক মোতায়েন করা হয়েছে। ধানবাদ সার্কেলের আধিকারিক প্রশান্ত কুমার লায়েক জানিয়েছেন, আপাতত উদ্ধারকারী দলের সাহায্যে তিন মহিলার মৃতদেহ খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে। দেহ পাওয়ার পর মৃতদের পরিবারের সদস্যদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।