• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

ইউক্রেন নয়, জাপান ছিল পুতিনের আক্রমণের নিশানায়, ফাঁস গোপন তথ্য

মস্কো, ২৯ নভেম্বর– নয় মাস অতিক্রান্ত রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের। এখনো চলছে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ। কিন্তু এরই মাঝে রাশিয়া সম্পর্কে জানা গেল অবাক করা কথা। রাশিয়ার লক্ষ নাকি ইউক্রেন ছিল না। ছিল জাপান। জাপান আক্রমণ করতে চেয়েছিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট  ভ্লাদিমির পুতিন। সস্প্রতি এই দাবিকরেছেন খোদ রুশ গাোয়েন্দা সংস্থা ‘এফএসবি’র এক আধিকারিক। ‘দ্য ইউরেশিয়ান টাইমস’-এর এক প্রতিবেদনে রাশিয়ার গোয়েন্দা

মস্কো, ২৯ নভেম্বর– নয় মাস অতিক্রান্ত রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের। এখনো চলছে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ। কিন্তু এরই মাঝে রাশিয়া সম্পর্কে জানা গেল অবাক করা কথা। রাশিয়ার লক্ষ নাকি ইউক্রেন ছিল না। ছিল জাপান। জাপান আক্রমণ করতে চেয়েছিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট  ভ্লাদিমির পুতিন। সস্প্রতি এই দাবিকরেছেন খোদ রুশ গাোয়েন্দা সংস্থা ‘এফএসবি’র এক আধিকারিক।
‘দ্য ইউরেশিয়ান টাইমস’-এর এক প্রতিবেদনে রাশিয়ার গোয়েন্দা সংস্থা ‘ফেডারেল সিকিউরিটি সার্ভিস’-এর (এফএসবি) এক আধিকারিকের কথা বলা হয়েছে। নিজের পরিচয় গোপন রাখলেও ‘উইন্ড অফ চেঞ্জ’ ছদ্মনামে এফএসবি-র বহু গোপন নথি ফাঁস করে দিয়েছেন তিনি। গত মার্চ মাসে রুশ মানবাধিকার কর্মী ভ্লাদিমির ওসেচকিনকে একটি চিঠি লেখেন ওই এজেন্ট। সেখানে দাবি করা হয়েছে, শুরুতে জাপান আক্রমণ করতে চেয়েছিলেন পুতিন। কিন্তু পরে সেই সিদ্ধান্ত বদল করে ইউক্রেনে হানা দেয় রুশ বাহিনী। বলে রাখা ভাল, পুতিন প্রশাসনের বিরুদ্ধে সরব হওয়ায় ওসেচকিনের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। তাই দুর্নীতি বিরোধী ওয়েবসাইট ‘গুলাগু.নেট’-এর কর্ণধার আপাতত ফ্রান্সে নির্বাসনে রয়েছেন।

রুশ এজেন্ট ‘উইন্ড অফ চেঞ্জ’-এর ফাঁস করা নথিতে বলা হয়েছে, পুতিনের ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে এফএসবি-র অন্দরে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। সেখানে আরও বলা হয়েছে, ২০২১ সালের আগস্ট মাসে জাপানের হামলার ছক কষছিলেন পুতিন। তবে কেন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি তা নিয়ে মুখ খোলেননি ওই এজেন্ট। উল্লেখ্য, কুরিল দ্বীপসমূপ নিয়ে রাশিয়া ও জাপানের মধ্যে বিবাদ রয়েছে। উল্লেখ্য, জাপেনের হোক্কাইদো দ্বীপ ও রাশিয়ার কামাচাতকা উপদ্বীপের মধ্যে অবস্থিত এই কুরিল দ্বীপসমূপ। প্রশান্ত মহাসাগর এবং ওখোতস্ক সাগরকে পৃথক করেছে ওই দ্বীপসমূপ। দ্বীতিয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানের কাছ থেকে কুরিল দ্বীপপু়ঞ্জ দখল করে নেয় রাশিয়া। আজও সেগুলি মস্কোর দখলে।