এনডিএ ছাড়লেন জনসেনা প্রধান পবন কল্যাণ 

হায়দরাবাদ, ৫ অক্টোবর – ফের ধাক্কা এনডিএ-তে। এআইএডিএমকের পর এবার তেলেগু অভিনেতা তথা রাজনীতিক পবন কল্যাণের দল জনসেনা পার্টি আনুষ্ঠানিকভাবে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ ছাড়ার কথা ঘোষণা করল। পবন কল্যাণ  জানিয়েছেন, কঠিন সময়ে তিনি টিডিপির পাশে থাকতে চান। আর সেই কারণেই বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট ত্যাগ করছেন তিনি। তিনি আরও জানিয়েছেন, সুশাসন ও উন্নয়নের জন্য অন্ধ্র প্রদেশে জনসেনা ও টিডিপি জোটের ক্ষমতায় আসা প্রয়োজন। 
বৃহস্পতিবার পবন কল্যাণ জানান, অন্ধ্রের মুখ্যমন্ত্রী জগন্মোহন রেড্ডির দল ওয়াইএসআর কংগ্রেসকে হারানোর জন্য আগামী বিধানসভা ভোটে টিডিপির সঙ্গে জনসেনা পার্টি আসন সমঝোতায় যাবে। পবন কল্যাণের এই চন্দ্রবাবু নাইডুর সঙ্গে সমঝোতার সিদ্ধান্ত তেলেগু রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল।   
বর্তমানে জেলে রয়েছেন টিডিপি প্রধান চন্দ্রবাবু নাইডু। তার আগেই কারাগারে গিয়ে চন্দ্রবাবুর সঙ্গে দেখা করে পবন কল্যাণ জানিয়েছিলেন, আগামী বিধানসভা নির্বাচনে টিডিপির সঙ্গে জোট বাঁধবে জনসেনা পার্টি। তবে, এর আগে তিনি দীর্ঘদিন ধরে বিজেপি, টিডিপি এবং জনসেনার জোটের পক্ষে সওয়াল করেছিলেন। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত তিন দলের জোট সম্ভব হল না।

অন্ধ্রপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নায়ডুর দল তেলুগু দেশম পার্টি (টিডিপি)-র সঙ্গে জোট বাঁধার কথা জানিয়েছিল মাস খানেক আগে। এ বার তেলুগু অভিনেতা-রাজনীতিক পবন কল্যাণের দল জনসেনা পার্টি আনুষ্ঠানিক ভাবে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ ছাড়ার কথা ঘোষণা করল।

বৃহস্পতিবার পবন জানিয়েছেন, অন্ধ্রের মুখ্যমন্ত্রী জগন্মোহন রেড্ডির দল ওয়াইএসআর কংগ্রেসকে হারানোর জন্য আগামি বিধানসভা ভোটে টিডিপির সঙ্গে জনসেনা আসন সমঝোতা করবে। তিনি বলেন, ‘‘অন্ধ্রের উন্নয়নের জন্য সরকার বদল জরুরি। তাই এনডিএ ছেড়ে আমরা টিডিপির সঙ্গে হাত মেলানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’’ দুর্নীতি মামলায় ধৃত অন্ধ্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবুর সঙ্গে পবনের সমঝোতার সিদ্ধান্ত তেলুগু রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ মোড় হতে পারে বলে ভোট-পণ্ডিতদের একাংশ মনে করছেন।
পবনের দাদা চিরঞ্জীবীও তেলুগু চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনেতা। ২০০৯-এ ভোটের মুখে নিজের দল প্রজারাজ্যম পার্টি গড়ে বিধায়ক হন। পরে কংগ্রেসে যোগ দেন এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হন। তবে  প্রজারাজ্যম পার্টির হয়ে দাদার জন্য প্রচার করলেও পবন কখনও কংগ্রেসে যোগ দেননি।  ২০১৯-এ বিধানসভা ভোটের আগে জনসেনা গড়ে আলাদা ভাবে লড়েছিলেন। কিন্তু দু’টি কেন্দ্রে লড়েও বিধায়ক হতে পারেননি। ১৭৫ আসনের অন্ধ্র বিধানসভায় মাত্র একটিতে জেতে তাঁর দল।
প্রসঙ্গত, আগামী বছর লোকসভা ভোট ছাড়াও অন্ধ্রপ্রদেশে বিধানসভা ভোট হওয়ার কথা। টিডিপির সঙ্গে হাত মেলালে পবন তেলুগু রাজনীতির সমীকরণ বদলে দিতে পারেন বলে রাজনৈতিক মহলের দাবি।  আগেই পড়শি রাজ্য তামিলনাড়ুর প্রধান বিরোধী দল এডিএমকের তরফে এনডিএ ছাড়ার ঘোষণা করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে পবনের সিদ্ধান্ত দক্ষিণ ভারতে বিজেপির অবস্থান আরও কাহিল করে তুলতে পারে বলে অনুমান। যদিও অন্ধ্রের মুখ্যমন্ত্রী জগনের দলের সঙ্গে সমঝোতার পথ এখনও খোলা রয়েছে বলে বিজেপি সূত্রে খবর ।
…………….