জয়পুর, ২১ জুন– বিচারপতি বসে তাঁর আসনে। আইনজীবীরা সওয়াল-জবাবে মগ্ন। সেই সময় আচমকাই অভিযুক্তের বাড়ির লোক এক বিশাল বস্তা নিয়ে এসে ফেললেন জজসাহেবের টেবিলে। বস্তা খুলতে জজসাহেবও অবাক ! বস্তার ভিতর রয়েছে শয়ে-শয়ে কয়েন। ১ টাকার, ২ টাকার, ৫ টাকার এবং ১০ টাকার। খুচরো পয়সা ভর্তি সেই বস্তার মোট ওজন ২৮০ কেজি! আর ভিতরে থাকা পয়সার ,মোট মূল্য ৫৫ হাজার টাকা!
পণপ্রথা বিরোধী আইনে বিচার চলছিল দশরথ কুমাওয়াতের। বিচারক তাকে নির্দেশ দিয়েছিলেন, স্ত্রীকে ৫৫ হাজার টাকা দিতে হবে। কিন্তু দশরথ তা দিতে না পারে বর্তমানে জেলে। কিন্তু তার বাড়ির লোকজন ছেলেকে ছাড়াতেআদালতের নির্দেশ মতো টাকা জোগাড় করার চেষ্টা করছিলেন। তারই ফলশ্রুতিতে ২৮০ কেজির কয়েন ভর্তি বস্তার আগমন।
রাজস্থানের জয়পুরের বাসিন্দা দশরথের সঙ্গে ১২ বছর আগে বিয়ে হয়েছিল সীমার। কিন্তু বিয়ের দু বছর কাটতে না কাটতেই স্বামীর বিরুদ্ধে পণ চেয়ে অত্যাচার করার অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের করেন সীমা। সেই মামলা গত ৫ বছর ধরে আদালতে বিচারাধীন। এর মধ্যেই বিচারপতি দশরথকে নির্দেশ দেন, খোরপোষ হিসেবে সীমাকে ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা দিতে হবে।
কিন্তু দশরথ কানাকড়িও দেয়নি, ফলে তার জেল হয়। এরপরেই ছেলেকে জেল থেকে ছাড়ানোর জন্য তার বাবা-মা এবং বাড়ির বাকিরা ওই টাকার কিছু অংশ আদালতে জমা দেবে বলে ঠিক করে। তারপরেই খুচরো পয়সায় মোট ৫৫ হাজার টাকা জমা দেয় তারা। হকচকিয়ে যান বিচারকও। তবে তিনি দশরথকে নির্দেশ দিয়েছেন, কয়েনগুলো ঠিক মতো গুনে এক একটি ব্যাগে ১০০০ টাকা করে ভরে সেই মতো গুছিয়ে রাখতে। আগামী ২৬ দিন মুদ্রাগুলি গোনার দিন ধার্য করা হয়েছে।