লখনউ, ২৯ এপ্রিল– এক সপ্তাহ আগেই নৃশংসভাবে খুন হওয়া গুরুগ্রামের বাসিন্দা ২৮ বছরের সোনিয়া শর্মার মৃতদেহের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া সামান্য একটি পলিথিন ব্যাগই ধরিয়ে দিল তার খুনিকে ।
গত ২১ এপ্রিল উত্তরপ্রদেশের মানেসারের একটি ফার্মহাউস থেকে সোনিয়ার মুন্ডুহীন, পুড়ে কালো হয়ে যাওয়া দেহ উদ্ধার করেছিল পুলিশ। তাঁর পা দুটিও কুপিয়ে কেটে ফেলা হয়েছিল। সেই ঘটনার তদন্ত নেমে ওই ফার্ম হাউসেরই একটি ঘর থেকে একটি পলিথিনের প্যাকেট খুঁজে পান তদন্তকারীরা। সেটির উপর বিশাখাপত্তনমের একটি সংস্থার নাম লেখা ছিল।
খোঁজখবর করে জানা যায়, ওই সংস্থাটি ভারতীয় নেভিকে পলিথিন ব্যাগ সরবরাহ করত। এরপরে সেই সূত্র ধরেই তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পর পুলিশ জানতে পারে, ২১ এপ্রিল জিতেন্দ্র নামে এক ব্যক্তি তার স্ত্রী সোনিয়া শর্মার নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার ব্যাপারে অভিযোগ দায়ের করেছিল থানায়। আরও খোঁজ খবর করে জানা যায়, জিতেন্দ্র এক সময় ভারতীয় নেভিতে রাঁধুনি হিসেবে কাজ করত। ২০২২ সালে অবসর নেয় সে।
এরপর জিতেন্দ্রকে আটক করে জেরা করতে শুরু করে পুলিশ। তদন্তকারীদের প্রশ্নের মুখে সে স্বীকার করে, সোনিয়াকে খুন করেছে সে নিজেই। স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিল সে। সম্প্রতি সে কথা জানতে পেরে গিয়েছিলেন সোনিয়া। তারপরেই স্ত্রীকে খুন করে জিতেন্দ্র। সে আরও জানায়, গোপনে প্রেমিকার সঙ্গে বিয়েও সেরে ফেলেছিল সে। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, সোনিয়াকে শ্বাসরোধ করে খুন করার পর দেহটি টুকরো করে কাটে জিতেন্দ্র।