ভারত:- ভারতের লক্ষ্য চাঁদের দক্ষিণ মেরুকে স্পর্শ করা। একমাত্র নাসা দক্ষিণ মেরুর সবথেকে কাছে গিয়েছিল। ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো সেই অসাধ্য সাধন করে ইতিহাসে নাম লেখাতে চাইছে। চাঁদের দক্ষিণ মেরুর সবথেকে কাছে অবতরণ করেছিল নাসার সার্ভেয়ার-৭। নাসা ১৯৬৮ সালে চাঁদের দক্ষিণ মেরুর থেকে খানিক দূরে ৪০ ডিগ্রি দ্রাঘিমাংশের কাছে অবতরণ করেছিল। এছাড়া আর কোনও দেশ বা মহাকাশ গবেষণা সংস্থা চাঁদের দক্ষিণ মেরুর কাছে পৌঁছতে পারেনি। ভারতের চন্দ্রযান-৩ কিন্তু সেই চেষ্টাতেই সফল হতে পাড়ি দিয়েছে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে। ২০১৯-এ ইসরোর চন্দ্রযান ২-কেও দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করাতে চেয়েছিল। কিন্তু ৯০ শতাংশ সফল হলেও একেবারে তীরে এসে তরী ডুবেছিল। এবার আর সেই ভুল না করে চন্দ্রযান ৩-কে নামাতে চাইছেন বিজ্ঞানীরা। চন্দ্রযান ৩ নামবে চাঁদের ৭০ ডিগ্রি দ্রাঘিমাংশে। এতদিন সমস্ত মহাকাশযান নেমেছে নিরক্ষীয় অঞ্চলে। নাসার পর দক্ষিণ মেরুর আরও কাছে নামছে ইসরো। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে নামলে ইসরো ঢুকে পড়বে ইতিহাসে। এতদিন মার্কিন গবেষণা সংস্থা নাসা ছাড়া সোভিয়েত রাশিয়া ও চিন নেমেছিল চাঁদে। কিন্তু ভারত চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে ২০১৯-এ। এবার নতুন উদ্যমে নেমে পড়েছে ইসরোর চন্দ্রযান-৩ মিশনকে সফল করতে। এই চন্দ্রযান-৩ মিশনের মূল লক্ষ্য চাঁদ মানুষের বসবাসযোগ্য কি না, তা খতিয়ে দেখা। সেই সংক্রান্ত তথ্যানুসন্ধান করবে রোবোটিক রোভার প্রজ্ঞান। ইসরো যদি এবার চাঁদের বুকে নামতে পারে, তা যেমন একটা ইতিহাস হবে, তেমনই ভারতের কাছে দুয়ার খুলে যাবে চাঁদ নিয়ে নতুন গবেষণার। ২০১৯-এ চাঁদে নামতে পারেনি চন্দ্রযান-২। তবে সেই মিশনকে একেবারে ব্যর্থ বলতে নারাজ ইসরো। শেষ মুহূর্তে বিক্রমের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলেও বহু তথ্য পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। সেই মিশনের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়েই এবার চন্দ্রযান-৩ মিশন শুরু করেছেন বিজ্ঞানীরা। পৃথিবী থেকে ১৪ জুলাই শুরু হয়েছিল যাত্রা। চাঁদে পৌঁছনোর সম্ভাবনা ২৩ শে অগাস্ট। ৪০ দিনের এই অভিযানের বাকি আর ২১ দিন। আগামী ৫ই অগাস্ট চাঁদের কক্ষপথে প্রবেশ করার কথা চন্দ্রযান ৩-এর। তারপর চাঁদের কক্ষপথে ঘুরতে ঘুরতে চাঁদে নেমে পড়বে তাদের চন্দ্রযান।