লেবানন, ১২ ডিসেম্বর– এমন এক সাদা বস্তু যা ৮০০ ডিগ্রি লেবাননে ভয়ংকর সাদা ফসফরাস বোমা ব্যবহার করেছে ইজরায়েল! সম্প্রতি এক রিপোর্টে উঠে এসেছে এই তথ্য৷ এই কথা জানাজানি হতেই আঙুল উঠছে আমেরিকার দিকে৷ কারণ, তেল আভিভকে এই বোমাগোলো দিয়েছে ওয়াশিংটন৷ বলে রাখা ভালো, নিষিদ্ধ না হলেও এই নারকীয় হাতিয়ার এতটাই ভীতিপ্রদ যে এর ব্যবহার মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ বলেই গণ্য হয়৷ সম্প্রতি ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট৷ সেখানে বলা হয়েছে, গত অক্টোবর মাসে লেবাননের ধেইরা শহরে সাদা ফসফরাস বোমা ফেলেছে ইজরায়েলি ডিফেন্স ফোর্সেস (আইডিএফ)৷ মার্কিন সংবাদমাধ্যমটির এক সাংবাদিক নাকি নিজে ১৫৫ মিলিমিটারের শেল বা গোলার দুটি খোল দেখেছেন৷ অভিযোগ, সেগুলো ছুঁডে়ছে ইজরায়েলের গোলন্দাজ বাহিনী৷ এই হামলায় বহু সাধারণ মানুষ আহত হয়েছে৷ পালটা ইজরায়েলি সেনার দাবি, ওই খোলগুলো স্মোকশেলের যা থেকে শুধুমাত্র ধোঁয়া নির্গত হয়৷ অন্যান্য দেশের মতোই ময়দানের পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই সেগুলো ব্যবহার করা হয়েছে৷ একে কোনওমতেই যুদ্ধাপরাধ বলা যায় না৷
এদিকে, ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদনটি প্রকাশ্যে আসতেই জোর শোরগোল শুরু হয়েছে৷ সোমবার এই বিষয়ে প্রশ্নের মুখে পডে়ন আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের কৌশলগত বিভাগের সমন্বয়কারী জন কারবি৷ উত্তরে তিনি বলেন, “বিষয়টি খতিয়ে দেখছে আমেরিকা৷ এটা খুবই উদ্বেগজনক৷ আমরা বন্ধু দেশের সেনাকে এমন হাতিয়ার দিয়ে থাকি৷ তবে সেগুলো অত্যন্ত ভেবেচিন্তে বৈধ কারণে এবং যুদ্ধের আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনেই ব্যবহার করা হবে বলেই আমরা আশা করি৷”উল্লেখ্য, ৭ অক্টোবর ইজরায়েলে ভয়াবহ সন্ত্রাসবাদী হামলা চালায় প্যালেস্তিনীয় সন্ত্রাসবাদী সংগঠন হামাস৷ মৃতু্য হয় প্রায় দেড় হাজার ইজরায়েলির৷ অনেককে পণবন্দি করে গাজা ভূখণ্ডে নিজেদের ডেরায় নিয়ে যায় হামাস৷ পালটা গাজায় সামরিক অভিযান চালাচ্ছে আইডিএফ৷ সরাসরি যুদ্ধে না নামলেও এই সংঘাতে হামাসের পাশে দাঁডি়য়েছে লেবাননের সশস্ত্র সংগঠন হেজবোল্লা৷ ফলে দুটি ফ্রন্টেই লড়াই চালাতে হচ্ছে ইজরায়েলকে৷