• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

২৪ ঘন্টার মধ্যে প্যালেস্তেনীয়দের গাজা ছাড়ার নির্দেশ ইজরায়েলের  

জেরুজালেম, ১৩ অক্টোবর –  ইজ়রায়েলি যুদ্ধবিমানের হামলা গাজ়ায়। নেতানিয়াহু সরকারের দাবি, হামলায়  আল-নুখবার ঘাঁটি ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। আল-কাসাম ব্রিগেডের ওই দফতরে ইজ়রায়েলি বিমানহানার কথা জানিয়েছে ইউরোপ এবং পশ্চিম এশিয়ার কয়েকটি সংবাদমাধ্যমও। শনিবার ভোরে এই বাহিনীরই হাজারের বেশি যোদ্ধা গাজ়া সীমান্তে ‘দি গ্রেট স্মার্ট ফেন্স’ ভেঙে ঢুকে পড়েছিল ইজরায়েলি ভূখণ্ডে। নির্বিচারে হত্যালীলা চালানোর পাশাপাশি, পণবন্দি করেছিল দেড়শোর বেশি

জেরুজালেম, ১৩ অক্টোবর –  ইজ়রায়েলি যুদ্ধবিমানের হামলা গাজ়ায়। নেতানিয়াহু সরকারের দাবি, হামলায়  আল-নুখবার ঘাঁটি ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। আল-কাসাম ব্রিগেডের ওই দফতরে ইজ়রায়েলি বিমানহানার কথা জানিয়েছে ইউরোপ এবং পশ্চিম এশিয়ার কয়েকটি সংবাদমাধ্যমও। শনিবার ভোরে এই বাহিনীরই হাজারের বেশি যোদ্ধা গাজ়া সীমান্তে ‘দি গ্রেট স্মার্ট ফেন্স’ ভেঙে ঢুকে পড়েছিল ইজরায়েলি ভূখণ্ডে। নির্বিচারে হত্যালীলা চালানোর পাশাপাশি, পণবন্দি করেছিল দেড়শোর বেশি ইজ়রায়েলিকে। শুধু তাই নয় , হামাসের সামরিক শাখা ইজ় আল-দিন আল-কাসাম ব্রিগেডের‘এলিট’ কমান্ডো ইউনিট আল-নুখবার সদর দফতর।  এবার সেখানেও হানা দিল ইজ়রায়েলি বায়ুসেনা। তবে ইজ়রায়েলের এই বিমানহানায় হামাসের কমান্ডো বাহিনীর তেমন ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা নেই বলে মনে করছেন সামরিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ। কারণ, গত কয়েক বছরে গাজ়া জুড়ে ভূগর্ভস্থ সুড়ঙ্গ  তৈরী করে গড়ে তোলা হয়েছে গোপন ডেরা ।
 
প্রসঙ্গত, ৭ অক্টোবরের হামলার  মাথা আল-কাসাম ব্রিগেডের প্রধান মহম্মদ দেইফের সরাসরি নিয়ন্ত্রণে আল-নুখবা কমান্ডো বাহিনী। রকেট হামলা চলাকালীন এই বাহিনীর যোদ্ধারাই ইজ়রায়েলের তৈরি কংক্রিট এবং ইস্পাতের ‘দি গ্রেট স্মার্ট ফেন্স’ ভেঙে হামলা চালিয়েছিল। প্রাচীর ভাঙার জন্য ওই এলাকায় নির্মীয়মাণ বাড়িগুলিতে গোপনে মজুত করা হয়েছিল বুলডোজার এবং বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক। 
এদিকে গাজ়ার ভূগর্ভস্থ সুড়ঙ্গে আটকে রাখা ইজরায়েলিদের মুক্ত করতে স্থলপথে গাজ়া ভূখণ্ডে অভিযান শুরুর প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। সীমান্তবর্তী এলাকাতে ইতিমধ্যে নিয়মিত এবং সংরক্ষিত ব্যাটেলিয়নগুলি মিলিয়ে প্রায় তিন লক্ষ ইজ়রায়েলি সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। অপহৃত ইজরায়েলিদের যতক্ষণ না পর্যন্ত মুক্তি দেওয়া হচ্ছে , ততদিন গাজায় জল, খাবার, বিদ্যুৎ এবং গ্যাসের সরবরাহ বন্ধ থাকবে বলে জানিয়ে দিয়েছে ইজরায়েল। খারিজ করে দেওয়া হয়েছে আন্তর্জাতিক আবেদন খারিজ করে বৃহস্পতিবার এ কথা জানিয়ে দিয়েছে ইজ়রায়েল। এই পরিস্থিতিতে গাজ়ায় মানবিক সঙ্কট সৃষ্টি হয়েছে। ইতিমধ্যেই হামাসের হাতে বন্দি ইজ়রায়েলি এবং আমেরিকার নাগরিকদের মুক্তির জন্য কাতার মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা নিয়েছে। মিশর সরকারও এ বিষয়ে হামাস নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে। এরই মধ্যে শুক্রবার ইজরায়েল যাচ্ছেন ইউরোপিয়ান কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেন এবং আমেরিকার প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিন। সরকারি সূত্রের খবর, ইজ়রায়েলের প্রেসিডেন্ট বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠক করবেন তাঁরা। 
প্রাথমিক ভাবে হামাসের তরফে পণবন্দিদের মুক্তির শর্ত হিসাবে ইজ়রায়েলের বিভিন্ন জেলে বন্দি হাজারের বেশি প্যালেস্তেনীয় আন্দোলনকারীদের মুক্তি দাবি করা হলেও নেতানিয়াহু সরকার তা খারিজ করে দিয়েছে। পাশাপাশি গাজ়ার বাসিন্দাদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ওই ভূখণ্ড ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিদ্যুৎ না থাকায় হাসপাতালগুলিতে চিকিৎসা পরিষেবা ব্যাহত হয়েছে। জীবনদায়ী ব্যবস্থা চালু না থাকায় মৃত্যু হয়েছে বহু রোগীর।
 গত ছ’দন ধরে গাজ়ায় ইজ়রায়েলি বিমান হানা অব্যাহত। যার জেরে ২৩ লক্ষ প্যালেস্তেনীয়র বাসভূমি গাজ়ায় তিন লক্ষের বেশি মানুষ ঘরছাড়া । তাঁদের বড় অংশ আশ্রয় নিয়েছেন রাষ্ট্রপুঞ্জ পরিচালিত জ়াবালিয়া, আল-শাতি এবং খান ইউনিস শরণার্থী শিবিরে।  এ পর্যন্ত ইজ়রায়েলি ভূখণ্ডে হামাসের হামলায় নিহতের সংখ্যা প্রায় ১,৩০০ জন। অন্য দিকে, গাজায় ইজ়রায়েলি বোমা হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দেড় হাজার ছাড়িয়েছে। 

এদিকে গাজ়া সীমান্ত সংলগ্ন সুফা আউটপোস্টে হামাস বাহিনীর বাঙ্কারে ঢুকে পড়ে ইজ়রায়েল সেনার ‘শায়িটেট ১৩’ ইউনিট। রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ের পর বাঙ্কার থেকে অপহৃত ২৫০ বন্দিকে উদ্ধার করে ইজ়রায়েলের  বাহিনী। শুধু তাই-ই নয়, হামাসের ৬০ সদস্যকে খতম করেছে, দাবি তাদের ।