গাজা, ১৮ নভেম্বর– হামাস হামলার প্রতিউত্তর দিতে গিয়ে গাজায় হামলা করে ইজরায়েল সেনা৷ যা পরিণত হয় দুই দেশের যুদ্ধে৷ ইজরায়েলর হানায় প্রায় ধংসস্তুপে পরিণত হয়েছে উত্তর গাজা৷ এখন সেখানে কিছু ধ্বংস করার মতো পাচ্ছে না ইজরায়েল সেনা সেই কারণে এবার তারা দক্ষিণ গাজাকে বেছে নিল হামলার স্থল হিসেবে৷ এবার দক্ষিণ গাজায় আঘাত হানল ইজরায়েল৷ সেখানে হামাস জঙ্গিদের নিকেশ করতে বোমা ফেলল ইজরায়েলি ফৌজ৷ প্রাণ হারিয়েছেন কমপক্ষে ৩২ জন৷ জানিয়েছেন দক্ষিণ গাজার এক স্বাস্থ্য আধিকারিক৷ যার মধ্যে রয়েছে শিশুরাও৷ আহত বহু৷ ফলে আরব-ইহুদি সংঘাত এবার আরও ভয়ানক রূপ নিচ্ছে৷
রয়টার্স সূত্রে খবর, শনিবার দক্ষিণ গাজার বৃহত্তম শহর খান ইউনিসের বসতি এলাকায় আক্রমণ করে ইজরায়েলের বিমানবাহিনী৷ এই হামলায় হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে৷ কারণ ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও অনেকে আটকে রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে৷ শুক্রবারই ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর এক সহযোগী মার্ক রেগেভ সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছিলেন, ‘আমরা বাসিন্দাদের এলাকা ছেড়ে অন্যত্র চলে যাওয়ার কথা বলেছি৷ আমরা জানি এটা সকলের জন্য সম্ভব নয়৷ কিন্ত্ত আমরা সাধারণ মানুষদের এই সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে থাকতে দেখতে চাই না৷’
গত বুধবার ইজরায়েলের পক্ষ থেকে দক্ষিণ গাজার সবচেয়ে বড় শহর খান ইউনিসের পূর্ব দিকে বনি শুহাইলা, খুজা, আবাসান এবং আল কারা অঞ্চলে লিফলেট ফেলা হয়৷ সেখানকার বাসিন্দাদের অবিলম্বে এলাকা ছেড়ে দেওয়ার জন্য সতর্ক করা হয়েছিল৷ লিফলেটে বলা হয়েছিল, ‘জঙ্গি সংগঠনগুলোর ব্যবহার করা সব বাড়িগুলোকে নিশানা করা হবে৷ আইডিএফ আপনাদের ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করবে৷ আপনরা শীঘ্রই এলাকা খালি করে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যান৷’
উল্লেখ্য, দক্ষিণ গাজার খান ইউনুস শহর এবং আশপাশের এলাকায় রয়েছে একাধিক বড় শরণার্থী শিবির৷ গাজায় ইজরায়েলের হামলা চালানোর পর থেকে প্যালেস্তিনীয়দের মৃতের সংখ্যা ইতিমধ্যেই ১১ হাজার পেরিয়ে গিয়েছে৷ এবার ইহুদি দেশটির কোপ পড়ল এখানেও৷ ফলে এই মৃতু্যমিছিল আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করছে কূটনৈতিক মহল৷