সম্প্রতি ১৬৫০ কিলোমিটার পাল্লার একটি ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করেছে ইরান। রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতে ইউক্রেনের উপর আরও আগ্রাসী হতে রুশ সেনার হাতে ড্রোন তুলে দিয়েছে ইরান। রাশিয়া সেই ড্রোন ইউক্রেনের বিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং সে দেশের বহু সরকারি আবাসন ধ্বংস করতে ব্যবহার করেছে। তার পর থেকেই পশ্চিমি দেশগুলির ‘নেকনজর’ পড়েছে ইরানের উপর। তাই সব রকম পরিস্থিতির জন্য নিজেদের আগেভাগে প্রস্তুত রাখতেই এই নতুন ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করা হয়েছে বলে ইরানের সামরিক বাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে। সেই প্রসঙ্গে ইরানের একটি সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় আমিরালি বলেন, ‘‘১৬৫০ কিলোমিটার পাল্লার একটি নতুন ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ইরানের অস্ত্রাগারে জায়গা পেয়েছে।’’
সেই সাক্ষাৎকারেই উঠে আসে ট্রাম্প প্রসঙ্গ। আমিরালি জানান, ২০২০ সালে বাগদাদে আমেরিকার ড্রোন হামলায় ইরানের সামরিক কমান্ডার কাসেম সোলেমানি নিহত হন। এর বদলা নিতে কয়েক দিন পর ইরাকে থাকা আমেরিকা সেনার উপর ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের হামলা চালিয়েছিল ইরান। মারা যায় আমেরিকার একাধিক সেনা। তবে সেই সেনাদের হত্যা করার কোনও ইচ্ছা ইরানের ছিল না বলেই আমিরালি জানান। সোলেমানি হত্যার আসল দায় ট্রাম্পের ছিল বলে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘‘ঈশ্বরের ইচ্ছায় আমরা ট্রাম্পকে হত্যা করতে চাই। হত্যা করতে চাই আমেরিকার প্রাক্তন বিদেশ সচিব মাইক পম্পিওকেও। যে সামরিক কমান্ডাররা সোলেমানিকে হত্যার আদেশ জারি করেছিলেন, তাঁদেরও হত্যা করা উচিত।’’
এর আগেও সোলেমানির মৃত্যুর জন্য আমেরিকার উপর প্রতিশোধ নিতে অঙ্গীকারবদ্ধ হওয়ার কথা জানিয়েছেন ইরানের শীর্ষ নেতারা।