ইরান পুলিশের বর্বরতা, মহিলাদের উরু, স্তন, গোপনাঙ্গ লক্ষ্য করে গুলি

তেহরান,৯ ডিসেম্বর– হিজাব বিরোধী আন্দোলনে ইরানে ইতিমধ্যেই প্রাণ হারিয়েছেন কয়েকশো মানুষ।কিন্তু এতো সত্বেও দমাদিল্লি তে রাজি নয় ইরান সরকার। বিদ্রোহ দমনে অমানুষিক অত্যাচার চালাচ্ছে সরকার। কিন্তু এবার যে অমানুষিকতার পরিচয় দিল ইরান পুলিশ তা ভাবাও যায় না। এক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের দাবি, মিছিলে থাকা মহিলাদের মুখ, স্তন, উরু ও গোপনাঙ্গ লক্ষ্য করে গুলি চালাচ্ছে নিরাপত্তা বাহিনী! এক চিকিৎসকের মতে, আন্দোলনকারী মহিলাদের সৌন্দর্যকে ক্ষতবিক্ষত করতে চাইছে ওই রক্ষীরা। হাসপাতালে যে ডাক্তার ও নার্সরা আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসা করছেন তাঁরা জানাচ্ছেন, পুরুষ ও নারীর ক্ষেত্রে আঘাতের জায়গা আলাদা। পাখিমারা গুলি বা পেলেট ব্যবহার করে শরীর ক্ষতবিক্ষত করে দিচ্ছে নিরাপত্তা রক্ষীরা। কিন্তু মহিলাদের ও পুরুষদের শরীরে ভিন্ন অংশেই টার্গেট করছে তারা। এপ্রসঙ্গে বলতে গিয়ে এক চিকিৎসক জানাচ্ছেন, ”আমি সদ্য ২০ পেরনো একটি মেয়ের চিকিৎসা করছিলাম। দেখলাম ওঁর গোপনাঙ্গে দু’টি পেলেট আটকে রয়েছে। এছাড়া ভিতরের থাইয়ে আটকে রয়েছে আরও দশটি গুলি। থাইয়ের গুলি সরাতে অসুবিধা হয়নি। কিন্তু যোনির এমন জায়গায় সেগুলি আটকে ছিল যে তা বের করা বেশ কঠিন ব্যাপার ছিল।”

তিনি জানিয়েছেন, ওই মেয়েটি তাঁকে জানিয়েছেন, তিনি যখন মিছিলে ছিলেন তখন তাঁকে তাক করে প্রায় জনা দশের নিরাপত্তা রক্ষী পেলেটে বিঁধে দিতে থাকে শরীর। তাদের মূল লক্ষ্যই ছিল উরু ও যোনি। এমন নিষ্ঠুরতা দেখে বিস্মিত সেই চিকিৎসক। তাঁর কথায়, ”ওকে দেখতে দেখতে মনে হচ্ছিল ও তো আমার মেয়েও হতে পারত।”