দিল্লি, ১৪ আগস্ট– নজর ২০২৪। কংগ্রেসের এবার লক্ষ্য মহিলা মহল । দলে মহিলা সদস্য বাড়াতে ঝাঁপিয়ে পড়ল কংগ্রেস। যদিও কংগ্রেসের মুখে মহিলা স্বশক্তিকরণ মন্ত্র। সেই মন্ত্রে ইন্দিরা গান্ধি ফেলোশিপ প্রোগ্রাম চালু করল কংগ্রেস। মহিলাদের আরও বেশি করে রাজনীতির প্রাঙ্গণে যোগ দেওয়ানোর উদ্দেশেই এই পরিকল্পনা বলে জানা গেছে। সোমবার কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি একটি টুইট করে বলেছেন, ভারত তখনই প্রকৃত অর্থে সফল হবে, যখন নারীরা সমাজে পুরুষদের সমান জায়গা দখল করবে। মহিলাদের ক্ষমতায়ন এবং রাজনীতিতে তাঁদের চলাচলের মাধ্যমেই তা নিশ্চিত করা যাবে বলে জানান তিনি।
কংগ্রেসের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে দাবি করা হয়েছে, এই ফেলোশিপই হল ভারতে মহিলাদের জন্য প্রথম রাজনৈতিক ফেলোশিপ। ভারতীয় যুব কংগ্রেসের একটি উদ্যোগ এই ইন্দিরা ফেলোশিপ। ওয়েবসাইটে গিয়ে সরাসরি আবেদন করা যাবে এই ফেলোশিপের জন্য। সেখানে লেখা রয়েছে, রাজনীতিতে আগ্রহী মহিলাদের আহ্বান জানানোর কথা। রাজনীতির সঙ্গে মহিলাদের প্রত্যক্ষভাবে যোগ ঘটাতেই ইন্দিরা গান্ধীর সম্মানে এই ফেলোশিপের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
রাজনীতিতে নারীদের কণ্ঠস্বরকে আরও জায়গা দিতে এবং সমাজে পরিবর্তন আনতে সবসময় সচেষ্ট ছিলেন ইন্দিরা গান্ধি। তাই তাঁর নামে তৈরি এই ফেলোশিপ লিঙ্গবৈষম্য চুরমার করে রাজনীতিতে নারীদের বাধাগুলি সরাবে বলেই মনে করা হচ্ছে। এই ফেলোশিপ যাঁরা পাবেন, তাঁরা অভিজ্ঞ রাজনৈতিক নেতাদের কাছ থেকে শেখার সুযোগ পাবেন বহু কিছু।
প্রসঙ্গত, রবিবারই কেরলের একটি জনসভায় কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি মণিপুরের হিংসা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে মন্তব্য করেন, মণিপুরের ঘটনা বিশেষ ধরনের ‘বিভাজন, ঘৃণা এবং ক্রোধের রাজনীতি’-র ফলাফল। একে ‘বিরক্তিকর’ বলে বর্ণনা করে কংগ্রেস দলের নেতা উদ্বেগ প্রকাশ করেন, যে এই ক্ষত সারতে অনেক সময় লাগবে।
তাঁর কথায়, ‘মণিপুরের দুঃখ এবং রাগ দ্রুত মিটবে না। এই হিংসা এখনই বন্ধ করা দরকার। আমি নিজের চোখে দেখেছি ওখানে কী হচ্ছে ওখানকার মানুষের সঙ্গে কী করা হচ্ছে। আমার এত বছরের রাজনৈতিক জীবনে আমি কখনও এমনটা দেখিনি।’