এর আগে ন্যাশনাল স্যাম্পল সার্ভে অফিসের প্রকাশিত ষষ্ঠ বার্ষিক পিরিয়ডিক লেবার ফোর্স সার্ভে রিপোর্টেও বলা হয়েছিল, ২০১৮ অর্থবর্ষের তুলনায় বেকারত্বের হার ৬.১ শতাংশ থেকে ২০২৩ অর্থবর্ষে ৩.২ শতাংশে নেমে এসেছে। মহিলাদের অংশগ্রহণের হার বাড়ায়, সামগ্রিকভাবে ভারতে শ্রম বাহিনীর সংখ্যা ৩৬.৯ শতাংশ থেকে বেড়ে ৪২.৪ শতাংশ হয়েছে। এসবিআই-এর গবেষণা বলছে, আসলে ভারতের শ্রমবাজার একটি গভীর পরিকাঠামোগত রূপান্তরের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। আরও বেশি বেশি মানুষ চাকরি করার বদলে উচ্চ শিক্ষাকে কাজে লাগিয়ে নতুন উদ্যোগ স্থাপনের পথ বেছে নিচ্ছেন।
উদ্যোগপতিদের উৎসাহ দেওয়ার জন্য মুদ্রা যোজনা এবং ছোট ব্যবসায়ীদের জন্য ক্ষুদ্র ঋণ প্রদানের যে সরকারি প্রকল্পগুলি চালি করা হয়েছে, তাতে সমাজের একেবারে নীচের স্তরের মানুষও নতুন উদ্যোগ প্রতিষ্ঠার জন্য সরকারি ঋণ পাচ্ছেন। এর ফলে, নতুন নতুন উদ্যোগ স্থাপনের পাশাপাশি বিভিন্ন পারিবারিক উদ্যোগগুলি বড় হচ্ছে। এসবিআই-এর গবেষণাপত্রে আরও বলা হয়েছে, বেকারত্ব নিয়ে সর্বদাই বিতর্ক থাকবে। উন্নয়নশীল অর্থনীতির দেশগুলিতে এটা একটা রাজনৈতিক সমস্যা। প্রকাশ্যে অনেক ভুল তথ্য এবং তথ্যে ভুল ব্যাখ্যা দেওয়া হয়। অনেক সময় রাজনৈতিক কারণে, আবার অনেক সময় কিছু অর্থনৈতিক এবং পুরানো ধাঁচের পরিমাপে ব্যবহারের ফলে এই ভুল ব্যাখ্যাগুলি তৈরি হয়।
এই প্রসঙ্গে উল্লেখ করা হয়েছে যুব সমাজ অর্থাৎ, ১৫ বছর থেকে ২৯ বছরের মধ্যে বয়স যাদের, তাদের বেকারত্বের কথা। ন্যাশনাল স্যাম্পল সার্ভে অফিস থেকে, সম্প্রতি যে ষষ্ঠ বার্ষিক পিরিয়ডিক লেবার ফোর্স সার্ভে রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে, ২০২৩ অর্থবর্ষে ভারতের বেকারত্বের হার, তিন বছর আগের ১২.৯ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশে নেমে এসেছে। তারপরও, বেকারত্বের হারকে ভুলভাবে উল্লেখ করা হচ্ছে। কর্মসংস্থানের সুযোগ সঙ্কুচিত হচ্ছে বলে দাবি করা হচ্ছে। এসবিআই-এর গবেষকরা বলেছেন, কর্মসংস্থানের সুযোগের সঙ্কোচন, বেকারত্বের অন্যতম গুরুতর পরিমাপ বলে মনে করা হয়। তবে, এসবিআই-এর মতে এই পরিসংখ্যান আদতে, ভারতের কর্মসংস্থান এবং শিক্ষার ধরনের পরিবর্তনের প্রতিফলন। বর্তমানে ভারতীয় পুরুষ ও মহিলারা অন্তত ২৩-২৪ বছর পর্যন্ত শিক্ষা গ্রহণ করেন। এর আগে অধিকাংশ পড়াশোনা করত ১৭ বছর পর্যন্ত।