উল্লেখ্য, ফিজির নাগরিক নন, এমন হাতে গোনা কয়েকজন এখনও পর্যন্ত এই সম্মানে পেয়েছেন।
শুধু ফিজিই নয়, পাপুয়া নিউগিনির তরফেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে সে দেশের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান দেওয়া হয়। পাপুয়া নিউগিনির প্রধানমন্ত্রী জেমস মারাপে মোদিকে “কম্পানিয়ন অব দ্য অর্ডার অব লোগোহু” সম্মানে সম্মানিত করেন। এটি পাপুয়া নিউগিনির সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান।
প্রশান্ত মহাসাগরীয় অ়ঞ্চলে দ্বীপরাষ্ট্রগুলির মধ্য ঐক্য এবং বিশ্বায়নে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদি কে এই সম্মানে সম্মানিত করা হয়েছে। এর আগে বিল ক্লিনটন এই সম্মান পেয়েছিলেন।
এদিকে প্রথমবার পাপুয়া নিউ গিনি সফরে গিয়ে ইন্ডিয়া-প্যাসিফিক আইল্যান্ডস কোঅপারেশনের সম্মেলনের আয়োজন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি । সেই সম্মেলনের বিদেশি অতিথিদের জন্য খাঁটি ভারতীয় খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছিল তাঁর তরফে। অন্যদিকে, এবছর আন্তর্জাতিক মিলেট বর্ষ হিসাবে পালিত হচ্ছে। সেই কথা মাথায় রেখে ভারতীয় খাদ্যসম্ভারের মধ্যে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয় মিলেটকে। এছাড়াও ভারতীয় নিরামিষ পদের ঢালাও সম্ভার ছিল এদিনের সম্মেলনে।
প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলিকে নিয়ে তৈরি হয়েছে ইন্ডিয়া-প্যাসিফিক আইল্যান্ডস কোঅপারেশন। পাপুয়া নিউ গিনির মাটিতেই এই সংগঠনের তৃতীয় সম্মেলনের আয়োজন করেন মোদি। ১৪টি দেশের প্রতিনিধিরা সেখানে অংশ নিয়েছিলেন। সম্মেলনের শেষে কবজি ডুবিয়ে ভারতীয় খানায় মজলেন অতিথিরা।
মেনুতে প্রথমেই ছিল প্রধানমন্ত্রীর রাজ্যের বিখ্যাত খাবার খান্ডভি। বেসনের তৈরি রোল ভাপিয়ে তৈরি হয় জনপ্রিয় এই গুজরাটি পদ। মালাই কোফতা, ডাল পাঁচমেল ভেজিটেবল কোলহাপুরির মতো পদও মেনুতে রাখা হয়। রাজস্থানি রাগি গাট্টা কারিও পরিবেশন করা হয় অতিথিদের জন্য। নান্নু ফুলকাও রাখা হয় মেনুতে। আন্তর্জাতিক মিলেট বর্ষের কথা মাথায় রেখে নানা রকম সবজি দিয়ে মিলেট স্যুপ ছিল মেনুতে। ভেজিটেবল মিলেট বিরিয়ানিও চেখে দেখেন অতিথিরা।
ভারতীয় সংস্কৃতি মেনেই খাবারের শেষপাতে ছিল মিষ্টি আর পানীয়ের আয়োজন। দই আর মশলা দিয়ে তৈরি মসালা চাস ছিল অতিথিদের জন্য। এছাড়াও মিন্ট টি-সহ নানা রকমের চা-কফির ব্যবস্থা ছিল। সম্মেলনের মধুরেণ সমাপয়েতে ছিল রাবড়ি দিয়ে মালপোয়া আর পান ফ্লেভারের কুলফি। মহাভোজের পরেই অবশ্য পাপুয়া নিউ গিনি ছেড়ে অস্ট্রেলিয়ার উদ্দেশে রওনা দেন প্রধানমন্ত্রী।