আজারবাইজানের হামলা রুখতে আর্মেনিয়াকে ‘পিনাক’ ভারতের 

নাগর্নো-কারাবাখ, ৩০ সেপ্টেম্বর– এখনো চলছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলছে। তারই মাঝে শুরু হয়েছে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান সমস্যা। যুদ্ধে জড়িয়েছে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান। বিতর্কিত নাগর্নো-কারাবাখ অঞ্চলের দখল নিয়ে আবারও লড়াই শুরু করেছে প্রাক্তন দুই সোভিয়েত দেশ। এহেন পরিস্থিতিতে এবার আর্মেনিয়ার সেনাবাহিনীকে ‘পিনাক’ রকেট লঞ্চার ও ক্ষেপণাস্ত্র দিচ্ছে ভারত।

জানা গিয়েছে, আর্মেনিয়ার সঙ্গে ইতিমধ্যে দু’হাজার কোটি টাকার অস্ত্রচুক্তিতে সই করেছে ভারত। চুক্তিমাফিক আর্মেনিয়ার সেনাবাহিনীকে রকেট লঞ্চার ও মিসাইল দেবে নয়াদিল্লি। দেওয়া হবে অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক মিসাইলও। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, আজারবাইজান মুসলিম প্রধান রাষ্ট্র। সেই সূত্রে, দেশটি তুরস্ক ও পাকিস্তানের থেকে সামরিক সাহায্য পাচ্ছে। সীমান্ত সংঘর্ষের প্রাথমিক পর্যায়ে তারা ‘সুবিধাজনক পরিস্থিতিতে’ রয়েছে বলেই পশ্চিমের সংবাদমাধ্যমের দাবি। তাই আজারবাইজানের মোকাবিলায় খ্রিস্টান-প্রধান আর্মেনিয়া ভারতের দ্বারস্থ হয়েছে। সে দেশের বিদেশ দপ্তরের তরফে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “আমরা ভারতের বিদেশমন্ত্রী জয়শংকরকে অবহিত করেছি যে, আর্মেনিয়ার সার্বভৌমত্বে আঘাত হানার চেষ্টা হচ্ছে।”

শত্রু শিবিরে হামলার পাশাপাশি বিভিন্ন গাড়িতে আক্রমণ করে লক্ষ্যভেদে অবর্থ্য হতে পারে এই রকেটগুলি। এই ধরনের রকেট অবশ্য নতুন নয়। বহু দিন ধরেই পিনাক ভারতীয় সেনাবাহিনীর বড় ভরসা। গত একদশক ধরে নিয়মিত ব্যবহৃত হচ্ছে এই রকেট। গত বছরের মে মাস থেকে লাদাখে চিনা আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর তাদের মোকাবিলা করতে এই রকেট লঞ্চার সিস্টেম ব্যবহার করা হয়েছিল। প্রায় ৭০ কিলোমিটার পর্যন্ত আঘাত হানতে সক্ষম এই হাতিয়ার।

বিশ্লেষকদের মতে, সোভিয়েত সদস্য থাকার দরুন আজারবাইজান ও আর্মেনিয়া দুই দেশই এখনও ধর্মনিরপেক্ষতার দিকেই ঝুঁকে। তবে নাগর্নো-কারাবাখ সংঘাত এবং তুরস্ক ও পাকিস্তানের ‘মুসলিম বিশ্বের ত্রাতা’ হয়ে ওঠার চেষ্টায় ধর্মের ভিত্তিতে ফাটল চওড়া হচ্ছে। এদিকে, বাকু ও ইয়েরেভান দুইয়ের সঙ্গেই নয়াদিল্লির সম্পর্ক ভাল। যেহেতু অজারবাইজানকে হাতিয়ার দিচ্ছে তুরস্ক ও পাকিস্তান, তাই  অস্ত্রের বাজার ধরতেই পালটা দিয়েছে ভারত।             


উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে আর্মেনিয়ার তরফে জানানো হয়, আজারবাইজানের হামলায় তাদের অন্তত ৪৯ জন সেনার মৃত্যু হয়েছে। ২০২০ সালের পরে এটাই দুই দেশের সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ বলে মনে করা হচ্ছে। বলে রাখা ভাল, আজারবাইজান ও আর্মেনিয়া দুই দেশই সোভিয়েত ইউনিয়নের সদস্য ছিল।