• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

১০টি বৃহত্তম অর্থনীতির মধ্যে সবথেকে বেশি কাজ করে ভারতীয়েরাই

দিল্লি, ৩ নভেম্বর– সম্প্রতি সপ্তাহে ৭০ ঘণ্টা কাজের পক্ষে সওয়াল করে নারায়ণ মূর্তি বলেছিলেন, “দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জার্মানি এবং জাপানের মানুষেরা দেশের উন্নতি করতে অতিরিক্ত সময় কাজ করেছিলেন৷ ভারতের অর্থনৈতিক উন্নতির জন্য তরুণ প্রজন্মের আরও কঠিন পরিশ্রম করা উচিত৷” যদিও নারায়ণ মূর্তির এই মন্তব্যকে বিরূপ হিসেবেই গ্রহণ করে এক মহল৷ শুরু হয়ে যায় তীব্র সমালোচনা৷

indian working

দিল্লি, ৩ নভেম্বর– সম্প্রতি সপ্তাহে ৭০ ঘণ্টা কাজের পক্ষে সওয়াল করে নারায়ণ মূর্তি বলেছিলেন, “দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জার্মানি এবং জাপানের মানুষেরা দেশের উন্নতি করতে অতিরিক্ত সময় কাজ করেছিলেন৷ ভারতের অর্থনৈতিক উন্নতির জন্য তরুণ প্রজন্মের আরও কঠিন পরিশ্রম করা উচিত৷” যদিও নারায়ণ মূর্তির এই মন্তব্যকে বিরূপ হিসেবেই গ্রহণ করে এক মহল৷ শুরু হয়ে যায় তীব্র সমালোচনা৷ কেউ কেউ তাঁকে উপদেশ দেওয়ার ভঙ্গিতে জানান, বেশি সময় কাজ করলেই উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় না৷
নারায়ণ মূর্তি যে পরামর্শ দিয়েছেন, তা নিয়ে তো বিতর্ক চলছেই৷ কিন্ত্ত এই বিতর্কের মাঝেই ভারতের কাজের সময় নিয়ে যে রিপোর্ট রাষ্ট্রপুঞ্জের অধীনস্থ আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা ‘ইন্টারন্যাশনাল লেবার অর্গানাইজেশন (আইএলও)’-এর ২০২৩ সালের রিপোর্টে উঠে এল তা কিন্তু মূর্তির পরামর্শকে অনেকাংশেই সমর্থক করে৷ এই রিপোর্ট বলছে, ভারতীয়েরা ইতিমধ্যেই বিশ্বের অন্যান্য দেশের কর্মীদের তুলনায় বেশি কাজ করেন৷
একদিকে যখন নারায়ণ মূর্তির এই মন্তব্য নিয়ে বিস্তর বিতর্ক শুরু হয়েছে দেশ জুডে়৷ নেটাগরিকদের একাংশ প্রবীণ শিল্পপতির সমালোচনায় মুখর হয়েছেন৷ সমালোচনা এসেছে একাধিক শ্রমিক সংগঠনের তরফেও৷ নারায়ণ মূর্তির নিদান শ্রমনীতির পরিপন্থী বলেও মন্তব্য করেছেন অনেকে৷ আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী, দিনে আট ঘণ্টার বেশি কাজ করার কথা নয় কর্মীদের৷ কিন্ত্ত নারায়ণ মূর্তির কথা যদি মেনে নিতে হয়, তবে সপ্তাহে ছ’দিনের হিসাবে প্রতি দিন ১১ ঘণ্টারও বেশি কাজ করতে হবে৷
অন্যদিকে, আইএলও-র হিসাব তখন বলছে, ভারতের বিভিন্ন সংস্থার কর্মীরা প্রতি সপ্তাহে গডে় ৪৭.৭ ঘণ্টা কাজ করেন৷ যদি ১০টি বৃহত্তম অর্থনীতির সঙ্গে তুলনা করা হয়, তা হলে ভারতীয়রাই প্রতি সপ্তাহে গডে় সবচেয়ে বেশি ঘণ্টা কাজ করেন৷ কাতার, কঙ্গো, লেসোথো, ভুটান, গাম্বিয়া এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহির কর্মীরা অবশ্য বেশি ক্ষণ কাজ করেন৷ এ ক্ষেত্রে ভারত বিশ্বব্যাপী র্যাঙ্কিংয়ে সপ্তম স্থানে রয়েছে৷
ভারতীয় কর্মীদের কাজ করার সময় এতটাই বেশি যে, আইএলও শুধুমাত্র ভারতের শ্রমঘণ্টা নিয়ে একটি রিপোর্ট তৈরির পরিকল্পনা করছে বলে জানা গিয়েছে৷ আইএলও-এর তথ্য এবং মাথাপিছু আয় বিশ্লেষণ করে আইএলও যে রিপোর্ট তৈরি করেছে, সেখানে দেখা গিয়েছে ভারতীয়দের আয় এবং সাপ্তাহিক গড় কাজের সময়ের মধ্যে ব্যস্তানুপাতিক সম্পর্ক রয়েছে৷ অর্থাৎ, ভারতীয় কর্মীরা প্রতি সপ্তাহে গডে় যত ক্ষণ কাজ করেন, সেই তুলনায় বেতন পান না৷ অন্যান্য দেশের কর্মীরা সেই তুলনায় বেশি বেতন পান৷