ভারতে চাকরির বাজারে তোলপাড় চলবে পাঁচ বছর, বলছে সমীক্ষা

বলা যায় এখন করোনা বিদায় নিয়েছে। কিন্তু পেছনে ফেলে গিয়েছে নিজের কর্মের বিরাট ব্ল্যাক হোল। করোনা মানুষের যে ক্ষতি করেছে তা কোনো কিছুতেই পূরণ হবার নয়। মানসিক যে ক্ষতি হয়েছে তা হয়তো আর কোনোও দিন পূরণ হবে না কিন্তু অর্থনৈতিক শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে তা পূরণ হতে লাগবে আরোও বেশ কয়েক বছর। বিশ্ব অর্থনীতির মাজায় যে আঘাত হেনেছে লকডাউন তা থেকে উঠে দাঁড়াতে যে আরও বেশ কয়েক বছর সময় লাগবে তা বোঝাই যাচ্ছিল। এরমধ্যেই বিশ্বব্যাপী চাকরির বাজারে আগামী পাঁচ বছর কী হতে চলেছে সমীক্ষা রিপোর্টে তার একটা পূর্বাভাস দিল ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম। ভারতের চাকরির বাজারে কী হতে চলেছে তাও বলা হয়েছে রিপোর্টে।

সেই রিপোর্টে স্পষ্ট বলা হয়েছে, আগামী পাঁচ বছর বিশ্বের চাকরির বাজারে মন্থন চলবে। যাতে কাজ হারাবেন বহু মানুষ। যদিও এই খবরে ভেঙে পড়ার আগে জানাই এর এই সতর্ক বার্তার আগে আবার নতুন কর্মসংস্থানও তৈরি হওয়ার সুসংবাদও দিয়েছে। তবে কাজ পাওয়ার চেয়ে হারানোর সংখ্যাটাই বেশি হবে বলে দাবি করা হয়েছে রিপোর্টে।

ওই সমীক্ষা রিপোর্টে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক চাকরির বাজারে এই কাজ পাওয়া ও হারানো হেরফের ২৩ শতাংশ ছোঁবে। ভারতে তা হবে ২২ শতাংশের মতো। ৮০৩টি সংস্থার সমীক্ষা রিপোর্টকে এক জায়গায় করে এই রিপোর্ট প্রকাশ করেছে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম।


তাতে বলা হয়েছে আন্তর্জাতিক চাকরির বাজারে এই যে ২৩ শতাংশ মন্থন হতে পারে তারমধ্যে ১০.২ শতাংশ হবে বৃদ্ধি। আর চাকরি খোয়াবেন ১২.৩ শতাংশ। সংখ্যার নিরিখে দেখতে গেলে প্রায় ১৪ মিলিয়ন মানুষ আগামী পাঁচ বছরে কাজ হারাতে বসেছেন। যা বিপদসঙ্কেত হিসাবেই দেখছেন অর্থনীতিবিদদের অনেকে।

রিপোর্টে উল্লিখিত হয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা তথা আর্টিফিসিয়াল ইন্টালিজেন্সের কথা। সেই সঙ্গে অত্যাধুনিক যন্ত্রাংশও বহু লোকের কাজ কেড়ে নিতে পারে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।