ক্রমে আমেরিকার আধিপত্যকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে আগ্রাসী চিন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর নতুন মহাশক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে কমিউনিস্ট দেশটি। সম্প্রতি নয়াদিল্লির উদ্বেগ বাড়িয়ে প্রকাশ্যে এসেছে বেশ কয়েকটি চাঞ্চল্যকর উপগ্রহ চিত্র। সেখানে দেখা যাচ্ছে ভারত মহাসাগরে ‘অতি-তৎপর’ হয়ে উঠেছে চিনা নৌবাহিনী। শুধু তাই নয়, প্যাসিফিক বা প্রশান্ত মহাসাগরে তৎপর হয়েছে লালফৌজ। তাই ভারতও তৈরি হচ্ছে।
আর সেই পথে গত সোমবার (২১ নভেম্বর) থেকে ১৩ দিনের যৌথ সামরিক মহড়া শুরু করেছে ভারত ও ইন্দোনেশিয়ার সেনাবাহিনী। যুদ্ধের কৌশল ঝালিয়ে নিচ্ছে দুই দেশের ‘স্প্যাশাল ফোর্সেস’ বা কমান্ডো বাহিনী। ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে কৌশলগত ভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান ইন্দোনেশিয়ার। তাই এই সামরিক মহড়ার প্রভাব ও বার্তা অত্যন্ত লক্ষ্যণীয়। এক বিবৃতিতে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রক জানিয়েছে, দুই দেশের মধ্যে ‘গরুড় শক্তি’ শীর্ষক সামরিক মহড়ার এটি অষ্টম অধ্যায়। ইন্দোনেশিয়ার কারাওয়াং এলাকার সানগগা বুয়ানা প্রশিক্ষণ এলাকায় এই মহড়া চলছে।
সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, স্বল্প পরিসরে যুদ্ধ এবং বাহিনীর মধ্যে সমন্বয় তৈরি করাই এই মহড়ার মূল উদ্দেশ্য। এছাড়া, দুই কমান্ডো বাহিনীর মধ্যে অস্ত্র প্রশিক্ষণ ও একসঙ্গে অভিযান চালানোর প্রক্রিয়া আরও মসৃণ করে তোলা হচ্ছে। এহেন মহড়ার মাধ্যমে ভারত ও ইন্দোনেশিয়ার মধ্যে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা ও সামরিক আদানপ্রদান বাড়বে। একা অপরকে আরও ভাল করে জানতে পারবে দুই দেশের সেনাবাহিনী।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি ফিলিপিন্সকে ব্রম্মস মিসাইল দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে দিল্লি। এহেন পরিস্থিতিতে এই সামরিক মহড়া চিনের কাছে তাৎপর্যপূর্ণ বার্তা।