দেরাদুন, ৩০ নভেম্বর– শত্রুদের ঘাঁটি খুঁজে বের করতে, সীমান্তে নজরদারি রাখতে, লুকনো অস্ত্রশস্ত্রের হদিশ দিতে এতদিন কুকুরই ভরসা ছিল ভারতীয় সেনার।এরজন্য তারা কুকুরদের প্রশিক্ষণ দিয়ে তৈরিও করত। বিশেষ করে তিব্বতি ম্যাস্টিফ, জার্মান শেফার্ড গোত্রের কুকুরদের ওপর ভরসা বেশি।
কিন্তু এবার চিলের নজর দিয়ে তারা দেখতে চাইছে। এবার সেনার কাজে যোগ দিতে চলেছে চিলরাও। পাকিস্তান থেকে উড়ে আসা ড্রোন ধ্বংস করতে চিলদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে সেনাবাহিনী।
শত্রুদের ড্রোনের মোকাবিলায় এবার ভারতীয় সেনায় যোগ দিচ্ছে চিল। প্রশিক্ষিত চিলের মাধ্যমেই এবার শত্রুদের ড্রোন আকাশ থেকে নীচে নামাবে সেনা। উত্তরাখণ্ডের আওলিতে চলছে প্রশিক্ষণ পর্ব। এই চিলরাই হবে ভারতীয় সেনার ‘অর্জুন’ । ক্ষিপ্র গতিতে উড়ে গিয়ে নজরদারি ড্রোন ধ্বংস করবে। সীমান্ত এলাকার আকাশসীমায় নজরদারিও চালাবে। ভারতীয় সেনা এই নতুন পদক্ষেপের নাম দিয়েছে ‘যুদ্ধ অভ্যাস’। একটা সময়ে রাজারা চিল বা বাজপাখিদের গুপ্তচর হিসেবে কাজে লাগাতেন। শত্রুদের নজর এড়িয়ে তাদের মাধ্যমেই সঙ্কেত চালাচালি হত। যুদ্ধের সময় এই পদ্ধতি খুবই কাজে আসত। সেই পুরোনো পদ্ধতিতেও ফের ফিরতে চাইছে ভারতীয় সেনা। পাকিস্তানের পাঞ্জাব থেকে জম্মু-কাশ্মীরে যে নজরদারি ড্রোনগুলো উড়ে আসে সেগুলোকে ধরতে এবার এই পদ্ধতি কাজে লাগাচ্ছেন সেনা জওয়ানরা।