রাষ্ট্রসংঘের খসড়া প্রস্তাবের পক্ষে ভোট ভারতের,শিশুদের অবস্থা খুবই সঙ্গীন বলে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন ‘হু’ প্রধান
SNS
দিল্লি ও গাজা , ১২ নভেম্বর – প্যালেস্টাইনে ইজরায়েলি বসতি প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়ে রাষ্ট্রসংঘ যে খসড়া প্রস্তাব তৈরি করেছে তার পক্ষে ভোট দিল ভারত। রাষ্ট্রসংঘের খসড়া প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছে ১৪৫ টিরও বেশি দেশ। পূর্ব জেরুজালেম-সহ অধিকৃত প্যালেস্টাইনি অঞ্চল এবং সিরিয়ার গোলানে বসতি স্থাপনের নিন্দা করেছে এই খসড়া প্রস্তাব।
আগামী সপ্তাহের গোড়ায় এই খসড়া প্রস্তাব নিরাপত্তা পরিষদে ভোটের জন্য পেশ করা হতে পারে। এই প্রস্তাব ইজরায়েলি বসতি স্থাপনের সমস্ত কার্যকলাপ অবিলম্বে বন্ধের দাবি করবে , বসতি স্থাপনের ইজরায়েলি প্রচেষ্টার নিন্দা করা হবে এবং অবিলম্বে সেগুলি প্রত্যাহারের আহ্বান করা হবে।
ইজরায়েলি বসতি স্থাপনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রসংঘের খসড়া প্রস্তাব ৯ নভেম্বর অনুমোদন করা হয়। নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় পাশ হয় এই প্রস্তাব। এর প্রতিক্রিয়ায় তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ সাকেত গোখলে বলেন যে, তিনি খুব আনন্দিত যে ভারত প্রজাতন্ত্র এই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছে ।
এদিকে এক মাস কেটে গেলেও বোমা-গুলি বর্ষণ হয়ে চলেছে গাজায়। ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু প্রতিদিন সাময়িক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হলেও এখনও গাজার পরিস্থিতি ভয়াবহ। বিশেষত, গাজার হাসপাতালগুলিতে অসহায় অবস্থা রোগীদের। অধিকাংশ হাসপাতালেই জ্বালানি প্রায় শেষ। শনিবার গাজার বৃহত্তম হাসপাতাল, আল-শিফা হাসপাতালে জ্বালানি শেষ হয়ে যাওয়ায় ২ শিশুর মৃত্যু হয়। বিপদের মুখে আরও অনেক শিশু। গাজায় প্রতি ১০ মিনিটে এক শিশুর মৃত্যু হচ্ছে বলে রিপোর্ট পেশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ।
এদিকে আল-শিফা হাসপাতালের ভয়াবহ পরিস্থিতি নিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন চিকিৎসকেরা। এদিন ২ শিশুর মৃত্যুর কথা জানিয়ে বিবৃতি দিয়ে ইজরায়েলি চিকিৎসকদের একটি দল জানায়, বিদ্যুৎ না থাকায় নিওনেটাল ইনসেনটিভ কেয়ার ইউনিটের কাজ বন্ধ হয়ে যায়। যার ফলে ২টি প্রিম্যাচিওর শিশুর মৃত্যু হয়। আরও ৩৭টি শিশু বিপদের মুখে রয়েছে।
গাজায় স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে এবং শিশুদের অবস্থা খুবই সঙ্গীন বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন হু প্রধান টেড্রস আধানম ঘেব্রেইসুস। তিনি বলেন, গাজায় প্রতি ১০ মিনিটে একটি করে শিশু মারা যাচ্ছে। রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদকে সতর্ক করে তিনি আরও বলেন, “গাজায় এখন কোনও জায়গাই নিরাপদ নয়। কেউই নিরাপদে নেই। গাজার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে।”