• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ মোবাইল লক্ষ্যে ৬০ হাজারটি চাকরি তৈরির সম্ভাবনা

দিল্লি, ১৭ আগস্ট– ভারত এখন বিশ্বের কাছে শুধু উৎপাদন-ব্যবসাতেই নয় প্রযুক্তি এবং বিজ্ঞানগত দিক দিয়ে অনেক উন্নত। নানান ইলেকট্রনিক্স প্রোডাক্টের আমদানি কমিয়েছে ঘরে তৈরী সেই উৎপাদন। সেই সূত্রেই নাম নেওয়া যায় মোবাইল ফোনের। মোবাইল উৎপাদনে ভারত যেমন বহু আগেই দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছিল। আর এবার সাম্প্রতিক রিপোর্টে জানা গেল, কেন্দ্রীয় সরকারের ‘মেক ইন ইন্ডিয়া কর্মসূচির

দিল্লি, ১৭ আগস্ট– ভারত এখন বিশ্বের কাছে শুধু উৎপাদন-ব্যবসাতেই নয় প্রযুক্তি এবং বিজ্ঞানগত দিক দিয়ে অনেক উন্নত। নানান ইলেকট্রনিক্স প্রোডাক্টের আমদানি কমিয়েছে ঘরে তৈরী সেই উৎপাদন। সেই সূত্রেই নাম নেওয়া যায় মোবাইল ফোনের। মোবাইল উৎপাদনে ভারত যেমন বহু আগেই দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছিল। আর এবার সাম্প্রতিক রিপোর্টে জানা গেল, কেন্দ্রীয় সরকারের ‘মেক ইন ইন্ডিয়া কর্মসূচির জেরে এদেশে স্মার্টফোন তৈরির প্রবণতা ব্যাপকভাবে বেড়েছে।

সূত্রের খবর, ‘অ্যাপল’, ‘স্যামসং’, ‘রেডমি’, ‘ওপ্পো’-এর মতো সমস্ত কোম্পানির পোর্টফোলিওতেই প্রচুর ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ ফোন রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

সেই রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতে তৈরি স্মার্টফোনের ইউনিট পরিসংখ্যান বর্তমানে ২ বিলিয়ন অতিক্রম করেছে। শিপমেন্টের ক্ষেত্রে রেজিস্টার হয়েছে ২৩% কম্পাউন্ড অ্যানুয়াল গ্রোথ রেটও। মানুষের চাহিদা মেটাতে আগামী ৬-১২ মাসে ভারতে মোবাইল ফোন তৈরির জন্য প্রায় ৬০ হাজারটি চাকরি তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এই নিয়োগ পুরোপুরি চাহিদার উপর ভিত্তি করেই হবে।এতেই একটা বিষয় পরিষ্কার হয়ে যায় যে, ভারত ফোন তৈরিতে নতুন রেকর্ড গড়ার পথে হাঁটছে। তবে মোদি সরকারের দ্বিতীয় আমলেও যে এর পরিবর্তন ঘটেনি, তা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন কাউন্টারপয়েন্ট রিসার্চের ডিরেক্টর তরুণ পাঠক। তিনি জানান যে, তারা এই কয়েক বছরে তরতরিয়ে স্থানীয় উৎপাদনে বৃদ্ধি দেখছেন। শুধুমাত্র ২০২২ সালেই সামগ্রিক ভারতীয় বাজারে ৯৮ শতাংশের বেশি শিপমেন্টে ছিল ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ প্রোডাক্ট। রিপোর্ট অনুযায়ী, বর্তমান সরকার যখন ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসে, তখন ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ প্রোডাক্টের শিপিংয়ের হার ছিল মাত্র ১৯%। সেখান থেকে এই ৮-১০ বছরের মধ্যে এর যে বিপুল উন্নতি হয়েছে, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই!

আর এই উন্নতি কেন্দ্রীয় সরকারেরই উদ্যোগেই বলে মনে করছেন অনেকে। তাঁদের দাবি, বর্তমান সরকার আত্মনির্ভর ভারত-এর মতো যেসব স্কিম চালু করেছে। আর এতেই উপকৃত হচ্ছে দেশীয় বাজার। উল্লেখ্য, এহেন প্রভূত উন্নতি দেখে অনুমান করা হচ্ছে যে, ভারত মোবাইল উৎপাদনে বিশ্বে দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ হওয়ার কারণে বহুল পরিমাণে কর্মসংস্থান হতে পারে।