লাদাখ, ১৬ ফেব্রুয়ারি– চিন সীমান্ত নিয়ে ভারতের মাথাব্যথা বরাবরের। কারণ যেনতেন প্রকারে ভারতের সীমান্ত কুক্ষিগত করতে প্রস্তুত ড্রাগন। তবে বরাবরই ভারতের কড়া জবাবে মুখ লুকিয়ে পালিয়েছে চিনা সৈনিকরা।
অরুণাচল প্রদেশ এবং লাদাখের বড় একটা অংশে রয়েছে চিন সীমান্ত। সেখানে নিরাপত্তা আরও বাড়াতে চায় ভারত সরকার। সেজন্য প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর আরও বেশি সংখ্যক নিরাপত্তাবাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিল নরেন্দ্র মোদির মন্ত্রিসভা। বুধবারই এই সেনা মোতায়েনের ব্যাপারে সবুজ সঙ্কেত দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। জানা গিয়েছে, ভারত-চিন সীমান্তের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর ৯ হাজার ইন্দো-টিবেটান বর্ডার পুলিস (আইটিবিপি) মোতায়েন করা হবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে– এই প্রস্তাব অনেক পুরনো। ২০১৩-১৪ সাল থেকেই অতিরিক্ত সেনা মোতায়েনের প্রস্তাব ছিলই। অর্থাৎ, সেটাই কার্যকর হতে চলেছে। আর এই সিদ্ধান্তেই প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে কি ভারত এবার চিন আক্রমণের প্রস্তুতি নিচ্ছে ?
তবে বাস্তবতা কিন্তু তা নয়। সংশ্লিষ্ট মহল জানে– ডোকালাম, পূর্ব লাদাখ, তাওয়াং ইত্যাদি এলাকায় গত কয়েক বছর ধরেই চিনা সেনার সঙ্গে মুখোমুখি হতে হয়েছে ভারতীয় সেনাকে। ভারত-চিন সীমান্তে প্রবল উত্তেজনার আবহ তৈরি হয়েছে। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর গত কয়েক বছরে সেনা মোতায়েন অনেকটা বাড়িয়ে দিয়েছে চিনও। উপগ্রহচিত্রে চিনাসেনাদের ছাউনি ও অস্ত্র মোতায়েনের ছবি দেখা গিয়েছে। সেটা ভারতের পক্ষে সুখবর নয়। ফলে, ভারতকেও তৈরি থাকতে হবে। আর সেই তৈরি থাকারই একটা পূর্ব-প্রস্তুতি এটা।
ভারত চিন সীমান্তে প্রথম সারিতে থাকেন আইটিবিপি জওয়ানরাই। গত কয়েক বছরে পূর্ব লাদাখ, অরুণাচল প্রদেশের সীমান্তে বেশ কয়েকবার হাতাহাতিতে জড়িয়েছে চিনা ও ভারতীয় সেনা। তা ছাড়া, শীতে বরফ পড়ার সুযোগে লাদাখের বেশ কিছু এলাকা, যেখানে ভারতীয় সেনা টহল দিত, কিন্তু ঠান্ডার কারণে সরে আসতে হয়েছে সেই সব এলাকায় ঢুকে বসে থাকে চিনা সেনা, যার অন্যথা এবছরও সম্ভবত হয়নি। তাই কৌশলে চিন চোরাগোপ্তা হামলা চালাতেই পারে। সেই হামলার মোকাবিলা করতেই আরও বেশি জওয়ানকে চিন সীমান্তে পাঠানো হচ্ছে।