দিল্লি, ১৯ ডিসেম্বর–  সদ্য সমাপ্ত ৫ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে ভরাডুবি হয়েছে কংগ্রেসের৷ অবিজেপি তিনটি রাজ্যও গিয়েছে বিজেপির দখলে৷ এই পরিস্থিতিতে ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনকে ‘পাখির চোখ’ করে কোমর বেঁধে নামতে চলেছে বিরোধীরা৷ মঙ্গলবার দিল্লিতে ইন্ডিয়া জোটের চতুর্থ বৈঠকে বসে জোটসঙ্গীরা৷ এই বৈঠকে যোগ বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার, বিহারের ডেপুটি মুখ্যমন্ত্রী ও আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব, শিবসেনা সুপ্রিমো উদ্ধব ঠাকরেও৷
প্রায় ১৪২ জন বিরোধী সাংসদের সাসপেনশনের পর এই বৈঠক যে বিরোধী জোটের কাছে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ছিল তা বলার অপেক্ষা রাখে না৷ ২০২৪-এর নির্বাচনের স্ট্র্যাটেজি নির্ধারণ করার পাশাপাশি সাংসদদের সাসপেনশনের পর কেন্দ্রের বিরুদ্ধে প্রচারের স্লোগান কী হবে, তা নিয়েও এদিন আলোচনা হয় বৈঠকে৷
জানা গিয়েছে, এদিনের ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকে যে ইসু্যগুলি নিয়ে আলোচনা হয় তা হল আসন সমঝোতা, যৌথ প্রচার ও প্রস্তাবিত কর্মসূচির রূপায়ণ৷
ইতিমধ্যে বাংলায় কংগ্রেসের সঙ্গে জোট-দরজা খুলে রাখার ইঙ্গিত দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তবে তিনি স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন যে, বাংলায় কংগ্রেসের জেতা আসন মাত্র ২টি৷ তবে বহরমপুরের ও মালদা দক্ষিণের পাশাপাশি রায়গঞ্জ আসনটি ছাড়ার ব্যাপারে প্রাথমিক সম্মতি রয়েছে বলে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যে স্পষ্ট৷
এছাড়া সোমবারই রাজ্যসভা ও লোকসভা মিলিয়ে একসঙ্গে বিরোধী দলের ৭৮ জন সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়েছে৷ এই ইসু্যটিও যে এদিনের আলোচনায় উঠবে, তা বলা বাহুল্য৷ এই ইসু্যটিকে কেন্দ্র করে বিরোধীরা কেন্দ্রের বিরুদ্ধে প্রচার কর্মসূচি নির্ধারণ করতে পারেন বলেও রাজনৈতিক মহলের অনুমান৷ পাশাপাশি সদ্য সমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনে হাতছাড়া হওয়া রাজ্যগুলিকে কীভাবে আসন পুনরুদ্ধার করা যায় এবং হিন্দি বলয়ে রেখাপাত করা যায়, তা নিয়েও এদিনের বৈঠকে আলোচনা হবে৷