যুদ্ধে জর্জরিত প্যালেস্টাইনে আবার ত্রাণ পাঠাল ভারত
SNS
দিল্লি, ১৯ নভেম্বর – যুদ্ধে জর্জরিত প্যালেস্টাইনে আবার ত্রাণ পাঠাল ভারত। এই নিয়ে দ্বিতীয়বার সাহায্য পাঠানো হল সেখানে। বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর নিজের এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করে একথা জানিয়েছেন। জয়শংকর জানান, ‘৩২ টন ত্রাণ নিয়ে ভারতীয় বায়ুসেনার সি-১৭ বিমান মিশরের এল-এরিশ বিমানবন্দরের উদ্দেশে উড়ে গিয়েছে।’ প্রসঙ্গত, গত ২২ অক্টোবর প্রথমবার ইজরায়েলে ত্রাণ পাঠিয়েছিল ভারত।
গত ৭ অক্টোবর থেকে ইজরায়েল ও হামাসের দ্বন্দ্বের জেরে ইতিমধ্যে প্যালেস্টাইনে মৃতের সংখ্যা ১২ হাজারের উপর। এর মধ্যে শিশুদের সংখ্যাই ৫ হাজার। এহেন পরিস্থিতিতে আবার মানবিক পদক্ষেপ করল ভারত। সব মিলিয়ে ত্রাণ পাঠানো হয়েছে ৩২ টন ।
গাজা এখন নেতনিয়াহু বাহিনীর দখলে। পালিয়ে বেড়াচ্ছেন এখনও পর্যন্ত জীবিত হামাস নেতারা। শহরের বৃহত্তম হাসপাতাল আল-শিফা যেন ‘মৃত্যুপুরী’। হামাস দের মারতে হাসপাতালে অভিযান চালাবে ইজরায়েলি ফৌজ । ফলে রোগীদের হাসপাতাল ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শেষ খবর পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, হাসপাতাল ছেড়ে পালাচ্ছেন অসংখ্য রোগী ও সাধারণ মানুষ। শনিবারই জানা গিয়েছিল, হাসপাতালের বাইরে দাঁড়িয়ে মাইকে ঘোষণা করে ইজরায়েলি সেনা হাসপাতাল খালি করার নির্দেশ দেয়। এই সংবাদ প্রকাশ্যে আসায় আন্তর্জাতিক মহলে সমালোচনা শুরু হয়। চাপে পড়ে বিবৃতি দেয় ইজ্ররায়েলি ফৌজ । তারা জানায়, কোনও রোগী বা হাসপাতালের কোনও কর্মীকে বেরিয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়নি।
এক মার্কিন সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট, গাজায় ৫ দিনের সংঘর্ষবিরতিতে নাকি রাজি হয়েছে ইজরায়েল। কিন্তু সেই সমস্ত সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী। নেতানিয়াহু সাফ জানিয়েছেন, কোনও রফাসূত্র মেলেনি। সকল পণবন্দিকে ফিরিয়ে আনতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ তাঁরা। যুদ্ধবিরতি প্রসঙ্গে একটি শব্দও খরচ করেননি তিনি।
বিবিসির একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, ইজরায়েলের হামলায় হাসপাতালের প্রবেশপথ গণকবরের পরিণত হয়েছে। অন্তত ৮০টি দেহ পড়ে রয়েছে সেখানে। নেতানিয়াহু সেনার হাসপাতাল ছাড়ার হুঁশিয়ারির পর ৩০০ জন গুরুতর অসুস্থ রোগী ছাড়া সকলেই প্রাণ বাঁচাতে হাসপাতাল ছেড়েছেন।
হাসপাতালে হামলা নিয়ে নেতানিয়াহু বারবার দাবি করেছে, হাসপাতালগুলিতেই ঘাঁটি তৈরি করেছে প্যালেস্টাইনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। হাসপাতালের নিচে সুড়ঙ্গ খুঁড়ে আশ্রয় নিয়েছে জঙ্গিরা। তাই হামাসকে নির্মূল করার জন্য হাসপাতালে হামলার প্রয়োজন। পাশাপাশি ইজরায়েলের বক্তব্য, যে সব রোগী হাসপাতালেই থাকছেন, তাঁদের নিরাপত্তার বন্দোবস্ত তারা করবে। হাসপাতালে খাবার, জল এবং অন্যান্য ত্রাণসামগ্রীও তারা পাঠিয়েছে বলে দাবি করেছে ইজরায়েলি সেনা।