বেঙ্গালুরু, ১৭ অক্টোবর– গত বৃহস্পতিবার থেকে কর্ণাটক-সহ একাধিক রাজ্যে অভিযান চালিয়ে যে টাকা উদ্ধার হয়েছে তা দেখে চোখ কপালে উঠেছে আয়কর দফতরেরই । কয়েকদিন আগে কর্ণাটকের এক কংগ্রেস নেতার আত্মীয়ের বাড়ি থেকে যে ৪২ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে তা বলতে গেলে নস্যি। এবার পুরো অভিযান পর্বে কর্ণাটক থেকে উদ্ধার হওয়া টাকা এবং সম্পত্তির পরিমান দাঁড়াল ৯৪ কোটি নগদ টাকা এবং আট কোটি টাকা মূল্যের সোনা-হিরের গয়না। এমনটাই জানিয়েছে আয়কর দফতরের তরফ।
গত ১২ অক্টোবর আয়কর দফতরের তরফ থেকে এই অভিযান শুরু করা হয়। বিভিন্ন সরকারি ঠিকাদারদের বাড়িতে এবং অফিসে অভিযান চালিয়ে হিসাব বহির্ভূত টাকা এবং গয়না বাজেয়াপ্ত করেছে আয়কর দফতর। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা এই ঘটনাকে ‘লজ্জাজনক’ বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘কর্ণাটকের দুর্ভাগ্য যে কংগ্রেস সরকার অর্থ তছরুপ, দুর্নীতি এবং আসন্ন নির্বাচনের জন্য অর্থ সংগ্রহের জন্য এটিএম বানিয়েছে।’
আয়কর দফতর গত কয়েকদিন ধরে অভিযান চালানোর পর এই প্রথম বিবৃতি দিয়েছে। দাবি করা হয়েছে , কর্ণাটক, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলাঙ্গানা এবং দিল্লিতে সরকারি ঠিকাদার, প্রোমোটার এবং তাঁদের সহযোগীদের বাড়িতে তল্লাশি চালান আয়কর দফতরের আধিকারিকরা। সবমিলিয়ে ৫৫ টি জায়গায় অভিযান চালানো হয়। ৩০টি দামি ঘড়ি উদ্ধার হয়েছে। এছাড়াও, প্রচুর নথি উদ্ধার করেছে আয়কর দফতর, যেখানে পণ্য কেনার ভুয়ো নথি পাওয়া গিয়েছে।
বিজেপি সাংসদ রবিশংকর প্রসাদ বলেন, সিদ্দারামাইয়া সরকার সম্প্রতি সরকারি ঠিকাদারদের ৬০০ কোটি টাকারও বেশি দিয়েছে।
নড্ডা কংগ্রেস এবং দুর্নীতিকে একই মুদ্রার দুটি পিঠ বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, ‘কংগ্রেস সরকারের আমলে ছত্তিশগড় ও রাজস্থানকে দুর্নীতির এটিএম করা হয়েছে। এরপর তেলেঙ্গানা ও মধ্যপ্রদেশেও একইভাবে এটিএম তৈরি করে জনগণের কষ্টার্জিত অর্থ লুট করতে চায়’।
সিদ্দারামাইয়া পালটা বলেছেন, ‘কারও বাড়িতে নগদ পাওয়া গিয়েছে বলে তা নিয়ে রাজনীতি করা ঠিক নয়। এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তাদের অভিযোগের প্রমাণ কোথায়?’