• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

দেশের মেরুদন্ড ভাঙতে বেটিংয়েও দাউড চক্র

দিল্লি, ১৫ অক্টোবর– এবার কেঁচো খুড়তে সাপ বেরিয়ে পড়ল৷ তদন্ত চলছিল নানান বেটিং থেকে শুরু করে হাওয়ালার৷ কিন্তু সেই তদন্তে নাম জড়িয়ে পড়ল দাউদ ইব্রাহিম পর্যন্ত৷ জানা গিয়েছে, সিধু মুসেওয়ালা খুনের অন্যতম অভিযুক্ত লরেন্স বিষ্ণুইয়ের নামে ফোন করে দুবাইয়ের এক ক্রিকেট বুকির কাছে চাওয়া হয়েছিল ৫০ কোটি টাকা৷ বুকি ওই ব্যক্তিকে বলেন,‘আমার বসের নম্বর দিচ্ছি,

দিল্লি, ১৫ অক্টোবর– এবার কেঁচো খুড়তে সাপ বেরিয়ে পড়ল৷ তদন্ত চলছিল নানান বেটিং থেকে শুরু করে হাওয়ালার৷ কিন্তু সেই তদন্তে নাম জড়িয়ে পড়ল দাউদ ইব্রাহিম পর্যন্ত৷
জানা গিয়েছে, সিধু মুসেওয়ালা খুনের অন্যতম অভিযুক্ত লরেন্স বিষ্ণুইয়ের নামে ফোন করে দুবাইয়ের এক ক্রিকেট বুকির কাছে চাওয়া হয়েছিল ৫০ কোটি টাকা৷ বুকি ওই ব্যক্তিকে বলেন,‘আমার বসের নম্বর দিচ্ছি, সেখানে কথা বলুন৷’ পরে দেখা যায় ওই নম্বরটি আসলে দাউদ ইব্রাহিমের ডান হাত ছোটা সাকিলের৷ প্রায় দেড় মাস আগে তোলা চেয়ে আসা এই ফোনের তদন্তে নেমে জানা যায়, দেশের বিভিন্ন অনলাইন বেটিং-এও ইদানীং টাকা ইনভেস্ট করছে ডি কোম্পানি৷
ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা ১৫০০ হাওয়ালা অপারেটর, ৩০০-র বেশি শেল কোম্পানি, রাজনৈতিক জগত, প্রশাসনের কর্তার সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ, বলিউড সেলিব্রিটিদের অনায়াস ব্যবহার, সর্বোপরি চার দশক পুরোনো সেই ট্রেড মার্ক অবশ্য একই রয়েছে গিয়েছে৷ তিনি, দাউদ ভাই, অর্থাৎ ইন্ডিয়ার মোস্ট ওয়ান্টেড দাউদ ইব্রাহিম কাসকর৷ গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, পুরোনো ফর্মুলার সব গুরুত্বপূর্ণ উপকরণকে একসূত্রে বেঁধে আরও একবার দেশের অর্থনীতির মেরুদন্ড ভেঙে দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে ডি কোম্পানি৷ দাউদের নেটওয়ার্ক কী ভাবে আমাদের দেশে আর্থিক প্রতারণার ফাঁদ বিস্তার করেছে, সেই মামলার প্রাথমিক তদন্তে নেমে ইডি আধিকারিকদের চোখ কপালে উঠে গিয়েছে৷ কেন্দ্রীয় সংস্থার দাবি, এই দুর্নীতির অন্যতম মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে মহাদেব বুক বেটিং অ্যাপ্লিকেশন সহ অন্যান্য গেমিং ও বেটিং অ্যাপ্লিকেশনকে৷
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ১৩৮টি অন লাইন বেটিং অ্যাপ্লিকেশনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক৷ এই অ্যাপগুলির অধিকাংশই চিন থেকে অপারেট করা হতো বলে জানতে পারে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক৷ কিন্ত্ত নিষিদ্ধ ঘোষণার পরেও সমস্যার সমাধান হয়নি৷ দাউদ ইব্রাহিম তাঁর নিজস্ব নেটওয়ার্কের মাধ্যমে থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া, সিঙ্গাপুর এবং সৌদি আরবের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পরিচালিত বিভিন্ন বেটিং অ্যাপের মাধ্যমে এদেশের নাগরিকদের প্রতারণা করার পরিকল্পনা করেছে বলেই ইডি সূত্রের দাবি৷ মহাদেব বুক বেটিং অ্যাপ সংক্রান্ত আর্থিক গরমিলের তদন্ত করতে নেমে ইডি আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন এই পুরো নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সক্রিয় হয়েছে ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা প্রায় ১৫০০ হাওয়ালা অপারেটর, ৩০০-র বেশি শেল কোম্পানি৷
ইডি আধিকারিকরা মহাদেব বুক বেটিং অ্যাপের মত সন্দেহজনক অ্যাপ্লিকেশনের প্রোমোশনের সঙ্গে বলিউড সেলিব্রিটিদের যুক্ত হওয়ার বিষয়টি নিয়েও উদ্বিগ্ন৷ তাঁদের ধারণা, দাউদ অত্যন্ত সুকৌশলে বলিউড সেলিব্রিটিদের ব্যবহার করে দেশের সাধারণ মানুষদের প্রলোভিত করার ছক কষেছে৷ যে কোনও বেটিং অ্যাপের তরফে ব্র্যান্ড এনডোর্সমেন্টের মোটা অঙ্কের প্রস্তাব আসার সঙ্গে সঙ্গেই যদি সেলিব্রিটিরা তাতে সম্মত না হন এবং এর পিছনে লুকিয়ে থাকা ক্ষতিকর উদ্দেশ্য খতিয়ে দেখেন তাহলে দেশের সাধারণ মানুষকে অর্থনৈতিক সুরক্ষা প্রদান করা সহজ হবে বলে ইডির দাবি৷