বন্যার পর লিবিয়ায় নতুন আতঙ্ক ‌‌‘ল্যান্ডমাইন’

ত্রিপোলি, ১৮ সেপ্টেম্বর– ভয়াবহ বন্যায় বিপর্যস্ত লিবিয়া। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। এর মধ্যেই নতুন সমস্যা হিসেবে যোগ হয়েছে খাবার পানির সংকট। নতুন এই সংকটের প্রধান কারণ বন্যার পানির নিচে ল্যান্ডমাইনের ফাঁদ।

লিবিয়ার উপকূলবর্তী শহর দারনা বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। বন্যা উপদ্রুত স্থানীয় বাসিন্দাদের বরাত দিয়ে বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, তাদের খাবার পানি নেই। যেখান থেকে খাবার পানি আসে, সেখানকার উৎসমুখে বন্যার পানি ঢোকার ফলে বিষাক্ত হয়ে গেছে। এর ফলে দূর থেকে জল আনা ছাড়া কোনো উপায় নেই তাদের। খবর রয়টার্সের।

কিন্তু দূরে যেতে ভয় পাচ্ছেন তারা। কারণ বন্যার পানির নিচে কোথায় ল্যান্ডমাইন পুঁতে রাখা আছে, সেটি আগে থেকে ঠাওর করা সম্ভব নয়। তারা জানিয়েছেন, কোনো কোনো এলাকায় বিপুল পরিমাণ ল্যান্ডমাইন রয়েছে।


একজন স্থানীয় প্রশাসক জানিয়েছেন, লিবিয়ায় বন্যা উপদ্রুত অঞ্চলগুলোতে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। গত শনিবার পর্যন্ত ১৫০ জনের পেটের পীড়ায় আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্ত বেশ কয়েকজনকে হাসপাতালেও পর্যন্ত পাঠানো হয়েছে। বিষাক্ত পানি খেয়ে আরও অনেকে আক্রান্ত হতে পারেন বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে এখনও ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণ হয়নি বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

দারনায় ৮৯১টি ভবন সম্পূর্ণ ধসে পড়েছে। এর মধ্যে ৩৯৮টি ভবন মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। এতে ঠিক কত জন নিহত হয়েছেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়। জাতিসংঘের মানবাধিকার সংক্রান্ত বিষয়ক দপ্তর জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে প্রায় ১১ হাজার। কোনো কোনো সংস্থা এর চেয়েও বেশি মৃত্যুর তথ্য দিচ্ছে। কোথাও কোথাও এখনও পৌঁছানো সম্ভব হয়নি।

প্রসঙ্গত, ২০১১ সাল থেকে যুদ্ধ বিধ্বস্ত লিবিয়া। গাদ্দাফির মৃত্যুর পর স্থিতিশীলতা আসেনি দেশটিতে। বরং গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এর মধ্যে এই বন্যায় বিপুল পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে। ব্যাপক প্রাণহানি হয়েছে।