দিল্লি, ৮ জুলাই – প্রেমিকের সঙ্গে ঘর বাঁধতে চার সন্তানকে নিয়ে পাকিস্তান থেকে ভারতে পালিয়ে এসেছেন স্ত্রী। অনলাইনে পাবজি খেলার মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে ঘর ছেড়েছেন পাক বধূ। ওই বধূর স্বামী ভিডিয়োর মাধ্যমে ভারতের কাছে স্ত্রী এবং সন্তানদের ফিরে পেতে চাইলেন। আর্জি জানালেন খোদ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে।
পাকিস্তানের বাসিন্দা গুলাম হায়দার বর্তমানে কাজের সূত্রে সৌদি আরবে থাকেন। সেখান থেকেই স্ত্রীর পরকীয়া এবং ভারতে পালিয়ে যাওয়ার কথা জানতে পারেন । সৌদি থেকেই ভিডিও তৈরি করেন গুলাম। ভিডিও বার্তায় তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার অনুরোধ করেছেন। গুলামের অনুরোধ, তাঁর স্ত্রী এবং সন্তানকে যেন মুক্তি দেওয়া হয়। নিরাপদে যেন তাঁদের মাতৃভূমি পাকিস্তানে ফিরিয়ে দেয় ভারত সরকার। গুলামের বক্তব্য, পাবজি খেলার মাধ্যমে তাঁর স্ত্রীকে ভুল বোঝানো হয়েছে। ভুল বুঝিয়ে তাঁকে ভারতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বীকার করেছেন এই পাক যুবক। তিনি জানিয়েছেন, ভারতের সংবাদমাধ্যমের প্রচেষ্টাতেই স্ত্রী এবং সন্তানকে তিনি খুঁজে পেয়েছেন, ধন্যবাদও জানিয়েছেন।
পাকিস্তান থেকে পাবজি খেলার মাধ্যমে নয়ডার বাসিন্দা শচীন সিংহের সঙ্গে আলাপ হয় পাকিস্তানের সীমা হায়দারের। আলাপ থেকে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। সীমার স্বামী সৌদিতে থাকতেন, সন্তানদের নিয়ে একাই থাকতে হত সীমাকে। সেই একাকিত্ব থেকে জন্ম প্রেমের। অবশেষে অনেক পরিকল্পনার পর নেপাল হয়ে গোপনে ভারতে প্রবেশ করেন সীমা।
খবর পেয়ে সীমাকে হরিয়ানা থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁর প্রেমিক শচীনকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। সীমাকে থাকতে দেওয়ার জন্য গ্রেফতার হয়েছেন শচীনের বাবাও। সীমার সন্তানেরা আপাতত তাঁর সঙ্গে জেল হেফাজতেই রয়েছেন। পাক বধূ জানিয়েছেন, তিনি শচীনের সঙ্গে থাকতে চান। নতুন করে এ দেশে সংসার করতে চান চান। তার জন্য ধর্ম পরিবর্তন করতেও তিনি রাজি। ওদিকে স্বামী গুলাম হায়দার স্ত্রী ও সন্তানদের ফিরে পেতে মরিয়া। শেষ পর্যন্ত ফেলে আসা সংসার নাকি নতুন সংসার কোন দিকে মোড় নেবে সীমার জীবন