• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

সংকেতলিপি ফাঁস, জেলের জেরা ইমরানকে

ইসলামাবাদ, ১৭ আগস্ট– ফের বিপদ ঘনাচ্ছে পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের। বর্তমানে তোষাখানা মামলায় জেলে তিনি। সেই জেলে বসেই ফের জেরার মুখে ইমরান। ইমরানের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাকিস্তান সরকারের গুরুত্বপূর্ণ সংকেতলিপি প্রকাশ্যে এনেছেন তিনি । মঙ্গলবার অটক জেলেই এফআইএ -এর বিশেষ দল জেরা করে পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে। গত বছর মার্চ মাসে একটি সংকেতলিপি প্রকাশ করে ইমরান

ইসলামাবাদ, ১৭ আগস্ট– ফের বিপদ ঘনাচ্ছে পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের। বর্তমানে তোষাখানা মামলায় জেলে তিনি। সেই জেলে বসেই ফের জেরার মুখে ইমরান। ইমরানের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাকিস্তান সরকারের গুরুত্বপূর্ণ সংকেতলিপি প্রকাশ্যে এনেছেন তিনি । মঙ্গলবার অটক জেলেই এফআইএ -এর বিশেষ দল জেরা করে পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে। গত বছর মার্চ মাসে একটি সংকেতলিপি প্রকাশ করে ইমরান দাবি করেন, আমেরিকার মদতে তাঁর সরকার ফেলে দেওয়ার চক্রান্ত চলছে আন্তর্জাতিক মহলে। দিন কয়েক আগে এক মার্কিন সংবাদপত্রে সেই সংকেতলিপিই বিস্তারিতভাবে প্রকাশিত হয়। সেই ঘটনার ভিত্তিতেই অভিযোগ দায়ের হয়েছে। প্রসঙ্গত, এই মামলায় আগেও জেরা করা হয়েছে ইমরানকে। তবে জেলের মধ্যে জেরা এই প্রথমবার।

প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ‘দ্য ইন্টারসেপ্ট’-এ প্রকাশিত এক রিপোর্টে বলা হয়, ইউক্রেন যুদ্ধে ‘নিরপেক্ষ’ থাকার মাশুল গুনতে হয়েছে ইমরান খানকে। ৭ মার্চ, ২০২২ সালে হওয়া এক বৈঠকে ইমরানকে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে সরাতে পাকিস্তান সরকারের উপর চাপ দেয় মার্কিন বিদেশ দপ্তর। শর্ত মানলে ইসলামাবাদকে অনেক কিছু ‘পাইয়ে দেওয়ার’ কথাও নাকি বলা হয়। ‘দ্য ইন্টারসেপ্ট’-এর দাবি, পাক সেনার এক আধিকারিকের মাধ্যমেই তাদের হাতে একটি গোপন নথি এসেছে। সেখানে আমেরিকায় নিযুক্ত পাকিস্তানের তৎকালীন রাষ্ট্রদূত আসাদ মাজিদ খান ও মার্কিন বিদেশ দপ্তরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক বিভাগের সহ-সচিব ডোনাল্ড লু-র মধ্যে হওয়া বৈঠকের উল্লেখ রয়েছে।

জানা গিয়েছে, ইমরানের বিরুদ্ধে সংকেতলিপির অপব্যবহারের অভিযোগে প্রায় তদন্ত গুটিয়ে ফেলেছিল এফআইএ । কিন্তু দিনকয়েক আগে ইমরানের বিরুদ্ধে এই সংকেতলিপি বিস্তারিতভাবে প্রকাশিত হয় আমেরিকার একটি সংবাদপত্রে। তারপরেই ফের নতুন করে তদন্ত শুরু হয়। পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর হেফাজতে থাকা গোপনীয় সংকেত কিভাবে মিডিয়ার হাতে এল, এই নিয়েই ফের শুরু হয় তদন্ত। সেই কারণেই মঙ্গলবার জেলে গিয়ে ইমরানকে জেরা করে তদন্তকারী দল। তবে কতক্ষণ ধরে জেরা করা হয়েছে, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে কী কী প্রশ্ন করা হয়েছে সেই নিয়ে বিস্তারিত তথ্য মেলেনি।

তবে সূত্রের খবর, মিডিয়ার হাতে সংকেতলিপি কীভাবে গেল সেই নিয়েই প্রশ্ন করার পরিকল্পনা ছিল তদন্তকারীদের। এছাড়াও, সংকেতলিপির বক্তব্য আদৌ কতখানি সত্যি, তা নিয়েও সংশয় রয়েছে গোয়েন্দাদের মধ্যে। যদিও ইমরান আগে দাবি করেছিলেন, সংকেতলিপিতে কি লেখা রয়েছে সেই তথ্য প্রকাশ করেননি তিনি। কোন দেশ থেকে কে সংকেতলিপি পাঠিয়েছে, তাও জানাননি বলে দাবি করেন প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী।