হিমাঙ্কের নীচেও যেতে পারে দিল্লির তাপমাত্রা, প্রবল শৈত্যপ্রবাহে হলুদ সতর্কতা জারি দিল্লিতে

দিল্লি, ১৬ জানুয়ারি– নতুন বছরের শুরু থেকেই গোটা উত্তর ভারত জুড়ে শুরু হয়ে যায় শৈত্যপ্রবাহ। যার মারাত্মক প্রভাব পড়ে দিল্লিতে। ফের শৈত্যপ্রবাহের কবলে দিল্লি। তাপমাত্রা ১.৪ ডিগ্রিতে নেমে পৌঁছে গেল চলতি মরশুমের শীতলতম দিনে। এই পরিস্থিতি দেখার পর  ভারতীয় আবহাওয়া  দফতর আইএমডি আগামী এক সপ্তাহের জন্য রাজধানীতে হলুদ সতর্কতা জারি করেছে। শুধু দিল্লি নয় পাশাপাশি জাতীয় রাজধানী অঞ্চল গুলিতেও এই শৈত্যপ্রবাহ চলবে বলে সতর্কতা দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। পূর্বাভাস বলা হয়েছে, আগামী তিন দিনে রাজধানী ও তার সংলগ্ন এলাকায় তাপমাত্রার পারদ আরও ২-৩ ডিগ্রি নেমে যেতে পারে। এছাড়াও থাকবে কুয়াশার দাপট। যা চলবে আগামী আরও পাঁচদিন। দিল্লির পাশাপাশি অঞ্চলগুলিতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ঘোরাফেরা করবে ২ ডিগ্রির আশেপাশে। কুয়াশার জেরে দৃশ্যমানতা কমে যাওয়ায় ব্যাহত হয়েছে উত্তর ভারতের রেল পরিষেবা। কুয়াশার জেরে অন্তত ১৩টি ট্রেন দেরিতে চলছে বলে জানিয়েছে উত্তর রেল কর্তৃপক্ষ।
গত ২-৩ দিনে কিছুটা কমেছিল ঠান্ডার প্রকোপ। সোমবার যা আবার নতুন করে শুরু হয়েছে। ঘন কুয়াশা আর প্রবল ঠান্ডার মধ্যেই দিল্লির ‘কর্তব্য পথ’-এ চলছে প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজের মহড়া। তবে শৈত্যপ্রবাহ থাকায় রাজধানীর বেশ কিছু রাস্তায় বহু মানুষকে আগুন পোহাতে দেখা গিয়েছে।আইএমডির তরফে জানানো হয়েছে, দিল্লির সর্বনিম্ন তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে ৬ ডিগ্রি নীচে চলে গিয়েছে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪-৫ ডিগ্রির বেশি উঠছে না। এই অবস্থা চলতে থাকতে তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নীচেও যেতে পারে বলে সতর্কবার্তা দিয়েছে আইএমডি ।
ঘন কুয়াশার জেরে দিল্লিতে ব্যাহত হয়েছে উড়ান পরিষেবাও। দৃশ্যমানতা কমে যাওয়ায় সকাল ও রাতের দিকে বেশ কিছু সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। কুয়াশা থাকলে একসঙ্গে বিমানের অবতরণ ও টেক অফ করানো হচ্ছে না। এর জেরে বেশ কিছু বিমান দেরিতে চলছে। এর মধ্যে আন্তর্জাতিক উড়ানও রয়েছে বলে খবর পাওয়া গিয়েছে। উল্লেখ্য, দিল্লির পাশাপাশি শৈত্যপ্রবাহের সতর্কতা দেওয়া হয়েছে হিমাচলপ্রদেশ, হরিয়ানা, পঞ্জাব, উত্তরাখণ্ড ও জম্মু-কাশ্মীরে। গত কয়েকদিনে তুষারপাত হয়েছে কাশ্মীর ও বদ্রীনাথে।