• facebook
  • twitter
Thursday, 19 September, 2024

অ্যান্টিবায়োটিকই ‘অ্যান্টি’, ভাইরাস মারে না বলেই পরামর্শ আইএমএর 

দিল্লি, ৬ মার্চ– এখন ডাক্তার থেকে গুগল বেশি বড় ডাক্তার।কিছু হলো কি হলো না গুগল খুলে ওষুধ দেখে কিনে টপাটপ মুখে। একটুতেই অ্যান্টিবায়োটিক চলে যাচ্ছে মুখে। হাঁচি কি কাশি সবেতেই একবার হাঁচলেও অ্যান্টিবায়োটিক। ফলে যা হওয়ার তাই হয়। ওষুধের কোর্স শেষের আগেই ডোজ বন্ধ। কয়েকটা ওষুধ খেয়ে রোগ সেরে গেলেই ব্যস, আর চিন্তা কি! এর ফলে

দিল্লি, ৬ মার্চ– এখন ডাক্তার থেকে গুগল বেশি বড় ডাক্তার।কিছু হলো কি হলো না গুগল খুলে ওষুধ দেখে কিনে টপাটপ মুখে। একটুতেই অ্যান্টিবায়োটিক চলে যাচ্ছে মুখে। হাঁচি কি কাশি সবেতেই একবার হাঁচলেও অ্যান্টিবায়োটিক। ফলে যা হওয়ার তাই হয়। ওষুধের কোর্স শেষের আগেই ডোজ বন্ধ। কয়েকটা ওষুধ খেয়ে রোগ সেরে গেলেই ব্যস, আর চিন্তা কি! এর ফলে ওষুধে আর কাজ হচ্ছে না, অ্যান্টিবায়োটিকই ‘অ্যান্টি’ হয়ে যাচ্ছে। আর এখন দেশজুড়েই ভাইরাল জ্বর বাড়ছে, সেই সঙ্গে শ্বাসকষ্ট-নিউমোনিয়ার উপসর্গ দেখা দিচ্ছে। ভাইরাসঘটিত এইসব অসুখে অ্যান্টিবায়োটিক প্রেসক্রাইব না করারই পরামর্শ দিচ্ছে ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্য়াসোসিয়েশন বা আইএমএ ।

সর্বভারতীয় ডাক্তারদের সংগঠন জানিয়েছে, দেশজুড়ে ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস টাইপ এ-র প্রকোপ বাড়ছে। ক্রমাগত জ্বর, সর্দি, কাশি, মাথাব্যথা এবং শ্বাসকষ্টের মতো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের অনেকগুলো ধরন আছে—টাইপ এ, টাইপ বি, এইচ১এন১ (নন-সোয়াইন ফ্লু)। দেশের কয়েকটি রাজ্যে ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের এইচ৩এন২ প্রজাতি ছড়িয়েছে। ইনফ্লুয়েঞ্জার এই প্রজাতি সবচেয়ে বেশি ছোঁয়াচে ও বিপজ্জনক। এই ভাইরাল স্ট্রেন একবার শরীরে ঢুকলে তাড়াতাড়ি সংখ্যায় বাড়তে পারে এবং আক্রান্তের থেকে দ্রুত ছড়াতেও পারে। সর্দি-কাশি, মুখ থেকে বেরনো থুতু-লালায় থাকা ভাইরাস ড্রপলেটের মাধ্যমে সুস্থ ব্যক্তিকে সহজেই সংক্রমিত করতে পারে। ইনফ্লুয়েঞ্জার এইচ৩এন২ প্রজাতির সংক্রমণে এখনও অবধি মৃত্যুর খবর না এলেও,জানা যাচ্ছে রোগীরা ফুসফুসের জটিল অসুখ ও প্রবল শ্বাসকষ্টে ভুগছে।

আইএমএ জানাচ্ছে, ভাইরাল জ্বর হলেই মুঠো মুঠো অ্যান্টিবায়োটিক খাবেন না। কারণ অ্যান্টিবায়োটিক ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ কমায়, ভাইরাসের নয়। অনেক ক্ষেত্রে ভাইরাল ইনফেকশনেও অ্যান্টিবায়োটিক ড্রাগ খেয়ে নেন অনেকে । এর ফলে হিতে বিপরীত হতে পারে । অ্যামোক্সিসিলিন, নরফ্লক্সাসিন, সিপ্রোফ্লক্সাসিন, অফলোক্সাসিন, লেভোফ্লক্সাসিন ইত্যাদি অ্যান্টিবায়োটিকসও মুড়ি মুড়কির মতো খেয়ে বিপদ ডেকে আনছেন অনেকেই। তাই ডাক্তারদের অ্যান্টিবায়োটিক প্রেসক্রাইব করতে বারণ করা হচ্ছে।