ইম্ফল, ১৬ নভেম্বর– ৩ মে থেকে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হওযার পর থেকে ছয় মাস পেরিয়ে গিয়েছে৷ কিন্ত্ত, এখনও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার ইঙ্গিত দেখা যাচ্ছে না মণিপুরে৷ সেনা ও পুলিশের হস্তক্ষেপে হিংসার ঘটনা অনেকটা কমলেও, এখনও বিক্ষিপ্তভাবে নাশকতামূলক হামলা চলছে৷ বৃহস্পতিবার, রাজ্যের টেংনোপাল জেলায় অজ্ঞাতপরিচয় যোদ্ধাদের হামলার মুখে পড়ল অসম রাইফেলস-এর একটি টহলদার দল৷ সূত্রের খবর, তাদের গাডি় লক্ষ্য করে ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস বা আইইডি হামলা করা হয়েছিল৷ গাডি়টিতে অসম রাইফেলসের প্রায় ১০জন কর্মী ছিলেন৷ তবে, বিস্ফোরণে তাঁদের কেউ আহত হননি বলে জানা গিয়েছে৷
অসম রাইফেলস-এর এক সূত্র জানিয়েছে, এই হামলা হয় এদিন সকাল সোয়া আটটা নাগাদ, টেংনুপাল জেলার সাইবোল এলাকায়৷ ওই এলাকায় কোনও বিশেষ গোষ্ঠীর সংখ্যাধিক্য নেই৷ মেইতেই এবং কুকি সম্প্রদায়ের জনসংখ্যা প্রায় সমান-সমান৷ অসম রাইফেলসের এক আধিকারিক বলেছেন, হামলাকারীদের পরিচয় জানা যায়নি৷ তিনি জানিয়েছেন, সাইবোলে অসম রাইফেলসের বেসক্যাম্প থেকে অসম রাইফেলস-এর ২০ নম্বর ব্যাটেলিয়নের এক টহলদার দল এদিন সকালে ওই এলাকায় টহল দিতে গিয়েছিল৷ ওই এলাকায় তারা নিয়মিত চহল দেয়৷ ওই আধিকারিক বলেছেন, “সকাল ৮টা-৮.১৫ নাগাদ অজ্ঞাত পরিচয় বিদ্রোহীদের একটি দল, টহলদার বাহিনীকে আক্রমণ করার চেষ্টা করে৷ সেখানে একটি আইইডি বিস্ফোরণ ঘটে৷ গুলিবর্ষণের ঘটনাও ঘটেছে৷ অসম রাইফেলস-এর কর্মীরা অবিলম্বে পাল্টা জবাব দেন৷”সেনা সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, টহলদার বাহিনীর সদস্যরা একটি মাইনরোধী গাডি়তে ছিলেন৷ অর্থাৎ, মাইন বিস্ফোরণ হলেও গাডি়টির ক্ষতি হওয়ার কথা নয়৷ এই বিশেষ গাডি়তে থাকাতেই অসম রাইফেলস-এর ওই কর্মীরা বেঁচে গিয়েছেন৷ বর্তমানে, আততায়ীদের খোঁজে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে অসম রাইফেলস৷ ৩ মে সংঘর্ষ শুরুর পর থেকে মণিপুরে অসম রাইফেলস-এর মোট ২৩টি ব্যাটেলিয়ন মোতায়েন করা হয়েছে৷ প্রথম থেকেই অসম রাইফেলস-এর কর্মীদের সঙ্গে বিবাদে জডি়য়েছে মেইতেই সম্প্রদায়৷ এমনকি, তাদের রাজ্য থেকে সরিয়ে নেওয়ার দাবি পর্যন্ত জানিয়েছে মেইতেইরা৷ অসম রাইফেল্স-এর বিরুদ্ধে তারা পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ করেছে৷ তাদের দাবি, জওয়ানরা রাজ্যের কুকি সম্প্রদায়ের হয়ে কাজ করছে৷