জেলই যখন হোটেল! বন্দিদের জন্য আইসক্রিম, ফুচকা, রূপচর্চার ব্যবস্থাও

মুম্বই, ১ ডিসেম্বর– কোন অন্যায় বা অপরাধের সাজা হিসেবে জেলে রাখা হয় অপরাধীকে৷ যাতে তাদের কৃতকর্মের বোধটা জন্মায়৷ বাইরের জগৎ থেকে আলাদা রাখা, পরিজনদের থেকে আলাদা রেখে, নানান বাহ্যিক সুখ থেকে দূরে রেখে তাকে শাস্তি দেওয়া হয়৷ কিন্তু সেই জেলেই শাস্তির বদলে মেলে নানা সুস্বাদু খাবার৷ রূপচর্চার ব্যবস্থা তাহলে আর অন্যায় বোধ কি জাগবে?
কিন্তু এবার সেই জেলই হতে চলেছে একপ্রকার হোটেল৷ যেখানে কড়ি ঢাললেই তেল থুরি সুস্বাদু খাবার থেকে শুরু করে রূপচর্চার ব্যবস্থা থাকবে৷ জেলবন্দিদের জন্য নানা সুযোগসুবিধার ব্যবস্থা করতে চলেছে মহারাষ্ট্র সরকার৷ ফুচকা থেকে শুরু করে আইসক্রিম- একাধিক খাবারের ব্যবস্থা থাকছে জেলবন্দিদের জন্য৷ চুলে রং করার ব্যবস্থাও থাকছে জেলের অন্দরেই৷ অনেকের দাবি, সাধারণ মানুষের করের টাকায় জেল যেন পিকনিক হয়ে উঠছে৷
জেলের এডিজিপি অমিতাভ গুপ্ত জানিয়েছেন, ‘খুব বেশি বিধিনিষেধ থাকলে বন্দিদের মানসিক অবস্থাও খারাপ হতে পারে৷ যদি হাতের নাগালে বেশ কিছু জিনিস পাওয়া যায়, তাহলে সামগ্রিকভাবে বন্দিদের উন্নতি হবে৷’
বর্তমানে জেলের মধ্যেই নির্দিষ্ট কিছু সামগ্রি কিনতে পারেন বন্দিরা৷  এবার জেলের মধ্যেও পাওয়া যাবে ১৭৩টি জিনিস, যা আগে মিলত না৷ তার মধ্যেই রয়েছে নানা খাবার৷ সেই তালিকায় রয়েছে ফুচকা, আচার, বাদাম চাকি, আইসক্রিম, পিনাট বাটারে ইত্যাদি৷ কফি পাউডার বা সুগারফ্রি মিষ্টিও এবার পাওয়া যাবে জেলের অন্দরেই৷ শুধু খাবারই নয়, জেলে পাওয়া যাবে দৈনন্দিন ব্যবহারের আরও নানা সামগ্রী৷ বারমুডা শর্টসের পাশাপাশি টিশার্ট কিনতে পারেন বন্দিরা৷ পাওয়া যাবে ফেস ওয়াশ, চুলের রং৷ মাদকের নেশা কাটাতে নিকোটিন সমৃদ্ধ ট্যাবলেটও কেনা যাবে জেলের মধ্যে থেকেই৷ সবমিলিয়ে ১৭৩টি জিনিসের তালিকা তৈরি করেছে মহারাষ্ট্রের কারা দপ্তর৷
তবে এই খবর প্রকাশ্যে আসার পরেই আলোচনা শুরু হয়েছে নেটদুনিয়ায়৷ অনেকের প্রশ্ন, বন্দিদের জন্য এত আয়োজন করার কী দরকার? কারোওর মতে, সংশোধনাগার যেন পিকনিক হয়ে উঠেছে৷