• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

রাজভবনের প্রেস সচিব পদ থেকে অব্যাহতি,  নবান্নে ফিরলেন আইএএস শেখর বন্দ্যোপাধ্যায় 

কলকাতা, ১৫ জুলাই – প্রধান সচিবের পদ থেকে নন্দিনী চক্রবর্তীকে সরানোর সুপারিশ করেছিলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। সেই সুপারিশ মতো রাজ্যপালের প্রধান সচিবের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় তাঁকে। সেই নিয়ে শোরগোল পড়ে  যায় রাজ্য–রাজনীতিতে। এরপর ফের নিজের পুরোনো দফতরে ফিরিয়ে নেওয়া হয় এই মহিলা আইএএস অফিসারকে। তাঁকে  পর্যটন দফতরের বিশেষ সচিব পদে নিয়োগ করে নবান্ন।

কলকাতা, ১৫ জুলাই – প্রধান সচিবের পদ থেকে নন্দিনী চক্রবর্তীকে সরানোর সুপারিশ করেছিলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। সেই সুপারিশ মতো রাজ্যপালের প্রধান সচিবের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় তাঁকে। সেই নিয়ে শোরগোল পড়ে  যায় রাজ্য–রাজনীতিতে। এরপর ফের নিজের পুরোনো দফতরে ফিরিয়ে নেওয়া হয় এই মহিলা আইএএস অফিসারকে। তাঁকে  পর্যটন দফতরের বিশেষ সচিব পদে নিয়োগ করে নবান্ন। এবার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস প্রেস সচিব শেখর বন্দ্যোপাধ্যায়কেও অব্যাহতি দেওয়া হল। তাঁকেও নবান্নের পুরোনো পদে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে।  তিনি তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের চলচ্চিত্র বিভাগের জয়েন্ট ডিরেক্টর পদে কর্মরত ছিলেন। সেই পদেই ফের যোগ দিয়েছেন এই আধিকারিক। প্রেস সচিব পদে রাজভবন থেকে আর কাউকে চাওয়া হবে কিনা সে বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায় নি। রাজভবন থেকে নবান্নের কাছে প্রেস সচিব নিয়োগের জন্য কোনো চিঠি এখনো দেওয়া হয়নি।  

রাজভবনের প্রেস সচিব পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হল শেখর বন্দ্যোপাধ্যায়কে। হঠাৎ কেন তাঁকে এই পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল সেই নিয়ে ফের গুঞ্জন দানা বাঁধছে রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে। প্রধান সচিবের পর প্রেস সচিবকেও অব্যাহতি দেওয়া নিয়ে নবান্নেও শুরু হয়েছে জোর চর্চা। আলোচনা শুরু হয়েছে প্রশাসনিক স্তরেও। তবে সূত্রের খবর শেখর বন্দ্যোপাধ্যায়কে নবান্নে তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের পুরনো পদে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
শেখর বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরানো নিয়ে রাজভবন থেকে এখনো পর্যন্ত কোনো ব্যাখ্যা মেলে নি। রাজ্যপাল কোনও অভিযোগও প্রকাশ্যে আনেননি।  তবে সূত্রের খবর, গত জানুয়ারী মাসের তৃতীয় সপ্তাহে রাজভবনের প্রেস সচিবের পদে দায়িত্ব পান শেখর।রাজভবনে প্রেস সচিব পদের জন্য তিনটি নামের তালিকা পাঠিয়েছিল নবান্ন সেখান থেকে ইন্টারভিউয়ের পর শেখর বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিজের প্রেস সচিব হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন রাজ্যপাল। ছয় মাসের জন্য জন্য তাঁকে নবান্ন থেকে ছাড়া হয়েছিল। সেই সময়কাল শেষ হয়ে যাওয়ায় তাঁকে পুরোনো দায়িত্বে ফিরে যেতে বলা হয়েছে।  
বিপরীতে ভিন্ন সূত্রে খবর , রাজ্যপাল মনে করেছেন , পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় অনেক হিংসার খবর তাঁকে দেওয়া হয়নি। এই নিয়ে তিনি ঘনিষ্ঠমহলে আলোচনা করেন বলেও বিশেষ সূত্রে খবর। এরপরই কেউ তাঁকে প্রেস সচিবকে সরিয়ে দেওয়ার দেওয়ার পরামর্শ দেন এবং সেইমতো পদক্ষেপ করেন রাজ্যপাল।
রাজভবনে প্রেস সচিবের পদটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। বিভিন্ন সরকারি কাজে প্রেস বিজ্ঞপি যার থেকে শুরু করে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে হয় প্রেস সচিবকে। সেই পদ এবার ফাঁকা হয়ে গেল।  নন্দিনী চক্রবর্তীকে সরিয়ে দেওয়ার পর এখনও রাজ্যপালের প্রধান সচিবের পদটিও ফাঁকা পড়ে রয়েছে। শেখর বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদে কাউকে নিয়োগ করার জন্য এখনও পর্যন্ত রাজভবনের পক্ষ থেকে নবান্নের কাছে কোনও চিঠি দেওয়া হয়নি। তাই এই পদটি এখন ফাঁকাই থাকছে বলে মনে করা হচ্ছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনকে ঘিরে রাজ্যের সঙ্গে রাজ্যপালের সংঘাত চরম আকার নিয়েছে। এই সংঘাতের আবহে এই ফাঁকা পদগুলিতে রাজ্যপাল কাকে নিয়োগ করবেন, নাকি রাজভবনের আধিকারিকদের দিয়ে কাজ করাবেন তা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠছে।