গাজা, ১৪ নভেম্বর – গাজার হাসপাতালের বেসমেন্টে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ অস্ত্রের সন্ধান মিলল৷ এর আগে হামাসের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকে বন্দি করে করে রাখার অভিযোগ তুলেছিল ইজরায়েল৷ এবার এই অভিযোগের স্বপক্ষে জোরাল প্রমাণ দিল ইজরায়েলি সেনা৷ সোমবার গাজায় ইজরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর হানায় মৃতু্য হয় হামাসের অন্যতম শীর্ষ নেতা আহমেদ সিয়ামের৷ এই জেহাদির বিরুদ্ধেই অভিযোগ ছিল র্যানটিসি হাসপাতালে রোগীদের সঙ্গে গাজার সাধারণ মানুষ মিলিয়ে মোট ১০০০ জনকে বন্দি করে রাখার৷ সিয়ামকে নিকেশ করার পর ওই হাসপাতালে অভিযান চালায় ইজরায়েলি সেনা৷ এই বিষয়ে ইজরায়েলের সেনার মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়াল হাগারি জানিয়েছেন, “গাজার র্যানটিসি হাসপাতালের বেসমেন্ট থেকে হামাসের মজুত করা গ্রেনেড, অন্যান্য বিস্ফোরক-সহ বহু অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার হয়েছে৷ আমরা এখানে বন্দিদের থাকার প্রমাণও পেয়েছি৷ একই সঙ্গে খোঁজ মিলেছে কমান্ড সেন্টারেরও৷”
হাগারি আরও জানিয়েছেন, “ইজরায়েলের সেনা একটি মোটরবাইক উদ্ধার করেছে যাতে গুলির চিহ্ন রয়েছে৷ মনে করা হচ্ছে, গত ৭ অক্টোবরের হামলার পর ইজরায়েলের পণবন্দিদের তুলে আনার জন্য ব্যবহার করা হয়েছিল৷ এই হাসপাতাল থেকেও ইজরায়েলের বিরুদ্ধে লড়াই চালাত জঙ্গিরা৷ আমরা তদন্ত শুরু করেছি৷”
উল্লেখ্য, শুধু এই র্যানটিসি হাসপাতালই নয়, ইজরায়েলের অভিযোগ, গাজার একাধিক হাসপাতালে নিজেদের ঘাঁটি গেড়েছে হামাস৷ আমজনতাকে মানব ঢাল হিসাবে ব্যবহার করে যুদ্ধে ব্যবহার করছে জেহাদিরা৷ গত ৭ অক্টোবর ইজরায়েলে হামলার পর থেকেই জঙ্গিদের মুছে ফেলার ডাক দিয়ে লাগাতার অভিযান চালাচ্ছে ইজরায়েলি সেনা৷