• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

বাঁকুড়ার বড়জোড়ার কারখানায় ভয়াবহ দুর্ঘটনা, গুরুতর আহত ১৫ জন শ্রমিক

বাঁকুড়া , ৩০ মে – বাঁকুড়ার বড়জোড়ার কারখানায় ভয়াবহ দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন ১৫ জন শ্রমিক। আহতদের মধ্যে ৫ জনের অবস্থা আশংকাজনক।  একটি স্পঞ্জ কারখানার ব্লাস্ট ফার্নেসে বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণস্থলে সেই সময় প্রায় ১০-১২ জন শ্রমিক কাজ করছিলেন। বিস্ফোরণের সময় ব্লাস্ট ফার্নেসের ভিতরের গরম ধাতব তরল তাঁদের গায়ে পড়ে যায়।   প্রাথমিকভাবে খবর, ঝলসে আহত হন অন্তত ১৫ জন

বাঁকুড়া , ৩০ মে – বাঁকুড়ার বড়জোড়ার কারখানায় ভয়াবহ দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন ১৫ জন শ্রমিক। আহতদের মধ্যে ৫ জনের অবস্থা আশংকাজনক।  একটি স্পঞ্জ কারখানার ব্লাস্ট ফার্নেসে বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণস্থলে সেই সময় প্রায় ১০-১২ জন শ্রমিক কাজ করছিলেন। বিস্ফোরণের সময় ব্লাস্ট ফার্নেসের ভিতরের গরম ধাতব তরল তাঁদের গায়ে পড়ে যায়।   প্রাথমিকভাবে খবর, ঝলসে আহত হন অন্তত ১৫ জন শ্রমিক। দ্রুত তাঁদের উদ্ধার করে বড়জোড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ১০ জনকে সেখান থেকে দুর্গাপুরের এক বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। 

কারখানা কর্তৃপক্ষ তরফে জানানো হয় , ১০-১২ জন শ্রমিক ওই স্পঞ্জ কারখানায় কাজ করছিলেন।কাজ চলাকালীন সকাল ১১ টা নাগাদ দুর্ঘটনা ঘটে।  ফার্নেস বিস্ফোরণে গরম তরল পড়ে যায় ১৫ জন শ্রমিকদের গায়ে। গুরুতর জখম হন তাঁরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ।  যান স্থানীয় বিধায়ক অলোক মুখোপাধ্যায়-সহ অন্যান্যরা। তড়িঘড়ি আহতদের উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় বড়জোড়ার হাসপাতালে।  তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের আশঙ্কা, দুর্ঘটনার সময় আরও বেশি শ্রমিক সেখানে থাকতে পারেন। সেক্ষেত্রে আহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা। তবে কীভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটল, সেই বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয়।
ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। ওই কারখানার নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েও নানা প্রশ্ন উঠছে। ওই কারখানায় কাজের সময় কর্মচারীদের একটি নির্দিষ্ট পোশাক দেওয়ার কথা কর্তৃপক্ষের। কিন্তু তা আদৌ দেওয়া হয়েছিল কি না, তা খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। বড়়জোড়া শিল্পতালুকে এই দুর্ঘটনার পর বেশ কিছু প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কারণ এই জাতীয় অঘটন বড়জোড়া শিল্পতালুকে এর আগেও ঘটেছে। ব্লাস্ট ফার্নেস ফেটে শ্রমিকদের আহত হওয়ার মত ঘটনা আগেও ঘটেছে। সেক্ষেত্রে এই স্পঞ্জ আয়রন কারখানায় ব্লাস্ট ফার্নেসের রক্ষণাবেক্ষণের কাজ ঠিকঠাক হত কি না, কারখানার কর্মরত শ্রমিকদের নিরাপত্তার জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রাখা হত কি না, সুরক্ষাবিধি মেনে চলা হত কি না , সেই সব প্রশ্ন উঠছে ।