কলকাতা, ৯ মার্চ – ফের চোখ রাঙাচ্ছে নতুন ভাইরাস এইচ ৩ এন ২। ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই দেশ জুড়ে বেড়ে চলেছে ভাইরাল ফ্লুয়ে আক্রান্তের সংখ্যা। দীর্ঘদিন ধরে কাশি ও সেইসঙ্গে জ্বরের উপসর্গ – এর জন্য দায়ী নতুন এই ভাইরাল জ্বর হংকং ফ্লু। বয়স্কদের ক্ষেত্রে বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে, বিশেষ করে যাঁদের কোমর্বিডিটি রয়েছে। এইমসের প্রাক্তন প্রধান চিকিৎসক রণদীপ গুলেরিয়া বয়স্কদের বিশেষভাবে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। জনবহুল এলাকা থেকেও দূরে থাকার সতর্কবার্তা দিয়েছেন তিনি। মাস্ক ব্যবহার করা, হাত ধোয়া, ভিড় এড়িয়ে যাওয়ার পুরনো অভ্যাস আবার ফিরিয়ে আনার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। রণদীপ গুলেরিয়া জানান, এই ভাইরাস প্রতি বছর রূপ পাল্টে নতুন রূপে ফিরে আসে। হাঁচি-কাশি, জ্বর একজনের থেকে সহজেই অন্য একজনের শরীরে ছড়িয়ে পড়ে।
নতুন রূপে, নতুন নামে ছড়িয়ে পড়ছে ভাইরাসজনিত অসুখ। হংকং ফ্লু নামক এই ভাইরাস শরীরে বাসা বাধলে জ্বর, সেইসঙ্গে কাশি, নাক থেকে জল পড়া, নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া, গলাব্যথা ও মাথাব্যথার মতো উপসর্গ দেখা দেয়। অনেকের ক্ষেত্রে আবার ডায়েরিয়া, বমি, সারা শরীরে যন্ত্রণাও হতে পারে। দিন তিন চার পর অন্যান্য উপসর্গ কমতে শুরু করলেও, কাশি কমতে ১৫ দিনেরও বেশি সময় লাগছে। রণদীপ বলেন, ‘এই পরিস্থিতিতে বয়স্কদের সতর্ক থাকতে হবে। বিশেষ করে যাঁদের শ্বাসকষ্টের সমস্যা আছে, হার্টের সমস্যা আছে কিংবা কিডনির অসুখ রয়েছে তাঁদের বাইরে বেরোনোর ব্যাপারে বিশেষভাবে সতর্ক থাকতে হবে, ভিড় এড়িয়ে চলতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘ ভারতে অনেক বছর আগে এইচ ১এন ১ ভাইরাস মহামারির আকার ধারণ করেছিল। এখন সেই ভাইরাসই রূপ পরিবর্তন করেছে। সেই ভাইরাসেরই উপরুপ হল এইচ ৩ এন ২। এই ভাইরাস যতই রূপ পরিবর্তন করছে ততই মানুষের শরীরে এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাচ্ছে। ফলে সংক্রমণের প্রবণতা বাড়ছে।’ এখনই সচেতন না হলে এই ভাইরাস আরও ছড়িয়ে পড়বে বলে আশংকা প্রকাশ করেছেন তিনি।