দিল্লি, ২১ সেপ্টেম্বর– ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিল দেশের শীর্ষ আদালত। এবার সংবিধান বেঞ্চের শুনানির সরাসরি সম্প্রচারণ দেখতে পারবেন দেশবাসী। আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে সংবিধান বেঞ্চের শুনানি সরসরি দেখা যাবে। প্রধান বিচারপতি ইউইউ ললিতের নেতৃত্বে ইতিমধ্যে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে। বিচারপতিদের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে আরও স্থির হয়েছে, পরবর্তীকালে সমস্ত মামলার শুনানি সরাসরি সম্প্রচার করা হবে।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে আদালতের শুনানিতে সরাসরি সম্প্রচারের প্রস্তবে সিদ্ধান্ত গৃহীত না হলেও সম্প্রতি বিচারপতিদের বৈঠকে এই বিষয়ে ফের আলোচনা হয়। সেখানেই ‘লাইভস্ট্রিমিং’ বা সরাসরি সম্প্রচারের পক্ষে মত দিয়েছেন বিচারপতিরা। তবে আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে কেবলমাত্র সংবিধান বেঞ্চের শুনানিগুলিই সরাসরি সম্প্রচার হবে। যা দেখা যাবে সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইট থেকে। এর ফলে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন, জম্মু-কাশ্মীরের উপর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের মতো সংবিধান সম্পর্কিত মামলার শুনানি সরাসরি দেখতে ও শুনতে পারবেন উৎসাহীরা।
কিছুদিন আগেই অবসর নিয়েছেন বিচারপতি এনভি রামানা । প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি রামানার অবসরের দিন তাঁর এজলাস থেকে সরাসরি সম্প্রচার হয়েছিল শুনানি। এরপর প্রধান বিচারপতি ইউইউ ললিতকে চিঠি লেখেন প্রবীণ আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিংহ । তিনি আদালতের কাজকর্ম সরাসরি সম্প্রচারের আবেদন জানান। প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তের পর ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে সেই দাবি বাস্তবে কার্যকর হচ্ছে।
এদিকে গতকাল সুপ্রিম কোর্টে হিজাব মামলা উঠেছে। মুসলিম দেশগুলিতেও হিজাবের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হচ্ছে। এতেই প্রমাণিত হয়, ইসলামে হিজাব বাধ্যতামূলক নয়। এমন ভাষাতেই হিজাবে নিষেধাজ্ঞার দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে জোরাল সওয়াল করল কর্ণাটক সরকার। মঙ্গলবার শীর্ষ আদালতে কর্ণাটক সরকারের পক্ষ থেকে সওয়াল করেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহেতা। তিনি বলেন, ”বিশ্বের এমন একাধিক দেশ আছে, যেগুলি সাংবিধানিকভাবে ইসলামিক দেশ। সেখানেও হিজাবের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হচ্ছে।” শীর্ষ আদালতের দুই বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ তুষার মেহেতাকে প্রশ্ন করে, কোন দেশের কথা তিনি বলছেন। জবাবে কর্ণাটক সরকার জানায়,”ইরানে বিক্ষোভ হচ্ছে। ”