দিল্লি,, ১৩ অক্টোবর– ইজরায়েল-গাজার যুদ্ধের ছায়া এবার ভারতেও। ইজরায়েল সামরিক বাহিনী ও গাজার উগ্রপন্থী সংগঠন হামাসের সংঘাতে চিন্তার মেঘ ঘনিয়েছে ভারতেও। নয়াদিল্লিতে ইতিমধ্যেই জারি হয়েছে হাই অ্যালার্ট। নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে ইজরায়েলি দূতাবাসগুলির।
ইজরায়েল-গাজা যুদ্ধে প্রাণ যাচ্ছে হাজার হাজার মানুষের। দুতরফেই চলছে মুহুর্মুহু রকেট হামলা চলছে। গাজা সীমান্তকে চারদিক থেকে অবরুদ্ধ করে পালটা হামলা চালাচ্ছে ইজরায়েল। হামাস বাহিনীর হানায় ইজরায়েলে অন্তত ১২০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশুই বেশি। অন্যদিকে ইজরায়েল সেনার পাল্টা অভিযানে গাজা স্ট্রিপে রক্তগঙ্গা বইছে। অন্তত ১৫০০ নিরীহ গাজাবাসীর নির্মম মৃত্যু হয়েছে। রেহাই পায়নি শিশুরাও।
ইজরায়েলে প্যালেস্তানীয় সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের হামলার পর পশ্চিম এশিয়ার দেশটির পাশে দাঁড়িয়েছে ভারত। আমেরিকা-সহ পশ্চিমি দেশগুলিও ইজরায়েলকেই সমর্থন করেছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ইজরায়েলকে সমর্থন করে তাঁর এক্স-হ্যান্ডেলে বার্তা দিয়েছেন যে কঠিন সময়ে ভারত ইজরায়েলের পাশে আছে। অন্যদিকে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, হামাসের অস্তিত্বই পৃথিবী থেকে মুছে দেবেন।
তবে এই যুদ্ধ শুধু প্যালেস্তাইন সীমান্তেই আর সীমাবদ্ধ নয়। ভয়ঙ্কর এই যুদ্ধের ছায়া ভারতেও পড়তে পারে বলে আগেভাগেই সতর্ক হয়েছে সরকার। দিল্লিতে ইজরায়েলের দূতাবাসের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। পাশাপাশি ইহুদিদের ধর্মস্থানগুলির নিরাপত্তাও বাড়ানো হয়েছে।
নয়াদিল্লিতে ইজরায়েলি দূতাবাস থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে স্থানীয় থানা রয়েছে। মধ্য দিল্লির চাবাদ হাউস থেকেও থানার দূরত্ব বেশি নয়। এই দু’জায়গাতেই বাড়তি পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। প্যালেস্তিনীয় সমর্থকরা যে কোনও সময়ে ইহুদিদের উপর হামলা করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইজরায়েল ও হামাস বাহিনীর মধ্যে যে যুদ্ধ চলছে, তার জেরে এদেশের ইজরায়েলি দূতাবাসে যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, তার জন্যই নিরাপত্তা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর।