• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

গাড়ির সঙ্গে ৯ বছরের বকেয়া-ফিটনেস ফেলও পেলেন হিরো আলম  

ঢাকা, ৯ ফেব্রুয়ারি– একেই বলে উপহারের গুঁতো। যাও একটা গাড়ি উপহার পেলেন কিন্তু সেই গাড়ির গুঁতোয় ঘুম ছুটেছে বাংলাদেশের নায়ক হিরো আলমের। একে তো এই সবে ভোটে হেরেছেন এরপর শান্তনা পুরস্কার হিসেবে যাও নিজের শিককের থেকে একটি গাড়ি উপহার পেয়েছিলেন হিরো আলম জানা গেল সেই গাড়ির বকেয়া প্রায় ৯ বছরের ট্যাক্স। নেই ফিটনেস সার্টিফিকেটও। ফলে

ঢাকা, ৯ ফেব্রুয়ারি– একেই বলে উপহারের গুঁতো। যাও একটা গাড়ি উপহার পেলেন কিন্তু সেই গাড়ির গুঁতোয় ঘুম ছুটেছে বাংলাদেশের নায়ক হিরো আলমের। একে তো এই সবে ভোটে হেরেছেন এরপর শান্তনা পুরস্কার হিসেবে যাও নিজের শিককের থেকে একটি গাড়ি উপহার পেয়েছিলেন হিরো আলম জানা গেল সেই গাড়ির বকেয়া প্রায় ৯ বছরের ট্যাক্স। নেই ফিটনেস সার্টিফিকেটও। ফলে ওই গাড়ি রাস্তায় নামাতে হিরো আলমকে খরচ করতে হবে প্রচুর টাকা। যদিও উপহার যে কোনও মূল্যে নিজের কাছেই রাখতে চান হিরো আলম ।

দুই বাংলার মানুষের কাছেই পরিচিত হিরো আলম। সদ্য বগুড়ার উপনির্বাচনে লড়াই করেছেন তিনি। এসবের মাঝেই হিরো আলমকে গাড়ি উপহার দেন এক স্কুলের প্রধান শিক্ষক। গত ৩১ জানুয়ারি ফেসবুক লাইভে এসে ওই শিক্ষক হিরো আলমকে নিজের ব্যবহার করা নোয়া মাইক্রোবাসটি উপহার দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। গাড়ি নিতে গত মঙ্গলবার হবিগঞ্জে যান হিরো আলম। বৃহস্পতিবার সংবাদমাধ্যমে তিনি জানান, “উপহারের গাড়ি নিয়ে গ্যাঁড়াকলে পড়েছি।” 

হিরো আলমের দাবি, হস্তান্তরের আগে উপহারদাতা শিক্ষক গাড়িটির ফিটনেস সার্টিফিকেট ও ট্যাক্স বকেয়া থাকার বিষয়টি তাঁকে জানাননি। এদিকে গাড়ি হস্তান্তরের সময় মানুষের ভিড়ের কারণে কাগজপত্র সেভাবে দেখার সুযোগ হয়নি তাঁর।

তবে উপহারের গাড়ি ফেরত দেবেন না বলে জানিয়েছেন হিরো আলম। তিনি বলেন, “কাগজপত্র নিয়ে যত জটিলতাই হোক, উপহারের গাড়ি ফেরত দেব না। এটা করলে ওই শিক্ষককে অপমান করা হবে। গাড়িটি অ্যাম্বুল্যান্স করব বলেছি। গাড়িটি বৈধভাবে রাস্তায় চলাচলে উপযোগী করতে যা অর্থ লাগে, তা খরচ করতে রাজি আছি। তবে যেহেতু গাড়িটি অ্যাম্বুল্যান্স হিসেবে ব্যবহার করা হবে, তাই বকেয়া মকুবের আবেদন করব। দু-একদিনের মধ্যে কোনওরকমে গাড়িটি বগুড়ায় ওয়ার্কশপে নিয়ে অ্যাম্বুল্যান্স বানানোর কাজ শুরু করব।”

প্রসঙ্গত, গাড়ির কাগজপত্র দেখে জানা গিয়েছে, নোয়া ১৯৯৮ মডেলের গাড়িটির ফিটনেস সার্টিফিকেটের মেয়াদ শেষ হয়েছে ২০১৩ সালের ১৫ জুলাই। ২০১৩ বর্তমানে ওই গাড়ির ট্যাক্স বাবদ বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) পাওনা প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকা।