উত্তরকাশী, ১৬ নভেম্বর – উত্তরাখণ্ডে নির্মীয়মাণ টানেল ভেঙে আটকে পড়া ৪০ জন শ্রমিককে ঘটনার চারদিন অতিক্রম হওয়ার পরও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি৷ শ্রমিকদের উদ্ধার করতে থাইল্যান্ড ও নরওয়ের বিশেষজ্ঞ দলের সঙ্গে সাহায্য চেয়ে যোগাযোগ করল উত্তরাখণ্ড প্রশাসন৷ শ্রমিকদের উদ্ধারের চেষ্টায় বাধা হয়ে দাঁড়ায় টেকনিক্যাল সমস্যা এবং ধস৷ এবার একটি বিশেষ যন্ত্র সমস্যা মেটাতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে৷ ভারতীয় বায়ুসেনার তিনটি বিশেষ বিমানে দিল্লি থেকে ওই মেশিন নিয়ে আসা হয় উত্তরাখণ্ডের টানেলে আটকে পড়া ৪০ জন শ্রমিককে উদ্ধার করতে৷
উদ্ধারকাজে যুক্ত করা হয়েছে থাইল্যান্ড ও নরওয়ে- এই দু’দেশের বিশেষ দলকে৷এদের মধে্্য একটি দল ২০১৮-তে থাইল্যান্ডের গুহায় আটকে পড়া নাবালকদের উদ্ধার করেছিল৷ প্রশাসন সূত্রের খবর, বিশেষ যন্ত্রটি ধ্বংসস্তূপ কেটে প্রতি ঘণ্টায় চার-পাঁচ মিটার গভীরে ঢুকতে পারে৷ সব কিছু ঠিকঠাক চললে ১০-১২ ঘণ্টার মধ্যে ওই মেশিনটি ‘রেসকিউ পাইপ’ ঠেলে ঢুকিয়ে দিয়ে পারবে যেখানে শ্রমিকরা আটকে রয়েছেন সেই জায়গায়৷
প্রশাসনের তরফে নরওয়ের জিওটেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়৷ সেই সঙ্গে উদ্ধার কাজে সাহায্যের জন্য দেশেরও বেশ কয়েকটি সংস্থার কাছে আবেদন করা হয়েছে৷
ন্যাশনাল হাইওয়েজ় অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্টের ডিরেক্টর অংশু মণীশ খালখো বলেছেন, ‘সুড়ঙ্গের মধ্যে আটকে পড়লেও শ্রমিকরা ঠিক আছেন৷ সেখানে তাঁদের খাবার ও জল পৌঁছে দেওয়া গিয়েছে৷ ওঁদের সঙ্গে বাড়ির লোকজন ও আমরা কথা বলছি, যাতে ওঁদের মনোবল চাঙা থাকে৷’
এদিকে, সুড়ঙ্গে আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধার করতে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন উত্তরাখণ্ড রাজ্য পুলিশের প্রধান অশোক কুমার৷ নতুন করে ধস নামায় এবং প্রযুক্তিগত কারণে উদ্ধারকাজ কিছুটা ব্যাহত হয়েছে বলে জানান তিনি৷ শ্রমিক উদ্ধারে বায়ুসেনার বিমানে বিশেষ মেশিন আনার কথা জানিয়েছেন৷ এই মেশিনের মাধ্যমে সুড়ঙ্গের পাশে গর্ত খনন করা হবে৷ খুব শীঘ্রই আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধার করা সম্ভব বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি৷ আটকে পড়া শ্রমিকদের সকলেই সুস্থ আছেন বলে প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে৷ পাইপের মাধ্যমে তাদের নিয়মিত খাবার, জল এবং অক্সিজেন সরবারহ করা হচ্ছে৷
শ্রমিকদের সুস্থ রাখতে চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনে ওষুধও সরবরাহ করা হচ্ছে৷ তাদের সাহস দিতে উদ্ধারকারী দল এবং পরিবারের সদস্যরা নিয়মিত তাদের সঙ্গে কথাও বলছেন৷
পাটনা, ১৬ নভেম্বর – বিহারে অবসরপ্রাপ্ত এক সেনাকর্মীকে গুলি করে হত্যার অভিযোগ উঠল৷ ঘটনায় অভিযুক্ত তিন দুষ্কৃতীকে তাড়া করে ধরে ফেলে গ্রামবাসীরা৷ জনতার গণধোলাইয়ে মৃতু্য হয়েছে তিন দুষ্কৃতীর মধ্যে দুজনের৷ অপর এক জন আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন৷ ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ৷ কিন্ত্ত কেন ওই সেনাকর্মীর উপর হামলার ঘটনা ঘটল তার কারণ এখনও জানা যায়নি৷
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রোহতাস জেলার কল্যাণী গ্রামে এই ঘটনা ঘটে৷ বুধবার সকাল ৯টা ৪৫ নাগাদ গ্রামে ঢুকে অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মী বীজেন্দ্র সিংকে গুলি করে হত্যা করে বাইক আরোহী তিন দুষ্কৃতী৷ এরপরই দুষ্কৃতীরা এলাকা ছেড়ে পালানোর সময় জনতার রোষের মুখে পডে়৷ তাড়া করে তিন যুবককে ধরে শুরু হয় গণপিটুনি৷ খবর পেয়ে অভিযুক্তদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে পুলিশ৷ সেখানে মৃতু্য হয় দুই অভিযুক্ত ২৩ বছরের মিথিলেশ কুমার, এবং বছর ২৫-এর আদিত্য কুমারের৷ অজিত কুমারের চিকিৎসা চলছে ৷
এসপি বিনীত কুমার জানিয়েছেন, গুলি করে পালানোর সময় জনতা ধরে ফেলে দুষ্কৃতীদের৷ ওই সময় প্রাণ বাঁচাতে পালটা গুলি চালায় অভিযুক্তরা৷ তখন আহত হন একজন গ্রামবাসী৷ গণপিটুনিতে মৃতু্য হয়েছে দুই যুবকের৷ হাসপাতালে একজনের চিকিৎসা চলছে৷ প্রাক্তন সেনাকর্মীকে কেন হত্যা করা হল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷