এই টানেলের অন্য প্রান্ত বারকোটের দিকে। সেদিক থেকেও শুরু হচ্ছে খননকাজ। ৪৮৩ মিটার সুড়ঙ্গের ১০ মিটারের মতো সেদিক থেকেও খোঁড়া হয়েছে বলে জানা গেছে। ওএনজিসি-কে সেই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বর্ডার রোড অর্গানাইজেশনের সাহায্যে মোট ৫ কিমি রাস্তা তৈরি করতে হবে।
তবে এবার উদ্ধারকাজে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে প্রকৃতি। উত্তরকাশীতে বৃষ্টি এবং সেই সঙ্গে বরফ পড়ার সম্ভাবনা তৈরী হয়েছে। বৃষ্টি ও তুষারপাত শুরু হলে উদ্ধারকাজ আবার ব্যাহত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। মৌসম ভবন সূত্রে রবিবারই জানানো হয়, পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাবে উত্তরাখণ্ড ও হিমাচল প্রদেশে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। সোমবারও মৌসম ভবন জানায়, সোমবার থেকে হালকা থেকে মাঝারি পরিমাণ বৃষ্টিপাত হতে পারে। মঙ্গলবার বৃষ্টির পরিমাণ বাড়তে পারে। আসতে পারে হড়পা বানও। ভারী বৃ্ষ্টির পাশাপাশি রয়েছে তুষারপাতের সম্ভাবনাও।
পাহাড়ে বৃষ্টি নামলে উদ্ধারকাজে আরও বিঘ্ন ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টি হলে ধস নামারও প্রবল সম্ভাবনা। টানেলের যে অংশের মাটি খোঁড়া হচ্ছে, তা বৃষ্টির জলে ধুয়ে ধস নামতে পারে। তুষারপাতের কারণেও ব্যাহত হতে পারে উদ্ধারকাজ।
গত শুক্রবার উত্তরকাশীর টানেল খোঁড়ার সময় যন্ত্র ধ্বংসস্তূপের ভিতরে লোহার কাঠামোয় আটকে যায়। যন্ত্রের অনেক অংশ ভেঙে যায়। কিছু কিছু যন্ত্রাংশ ভিতরে আটকে ছিল। আটকে থাকা যন্ত্রাংশ না সরানো পর্যন্ত কাজ এগোনো যাচ্ছিল না। শুক্রবার থেকেই যন্ত্রাংশ সরানোর কাজ শুরু হয়েছিল। কিন্তু যন্ত্রের ব্লেডগুলি এমন ভাবে লোহায় আটকে ছিল যে, তা সরাতে যথেষ্ট বেগ পেতে হয় উদ্ধারকারীদের। ভারী যন্ত্রটিও সুড়ঙ্গ থেকে বার করে আনতে সময় লাগছিল। সোমবার সকালে সেই সমস্ত কাজ শেষ হওয়ার পর ফের শুরু হয়েছে উদ্ধারকাজ।