শিমলা, ১৪ আগস্ট – প্রবল বর্ষণে বিপর্যস্ত হিমাচল প্রদেশ। সোলান জেলার যাদন গ্রামে মেঘভাঙা বৃষ্টিতে একই পরিবারের ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। ভারী বৃষ্টির জেরে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এই রাজ্যে ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিংহ সুখু। শিমলা শহরে একটি শিবমন্দিরে ধসে ৯ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে । আশঙ্কা করা হচ্ছে, ভেঙে পড়া কংক্রিটের নীচে এখনও চাপা রয়েছেন ১৫-২০ জন পুণ্যার্থী। মৃত্যুর সংখ্যাও বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। গোটা রাজ্য জুড়ে ভূমিধস ও বন্যার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, সোমবার সকালে শিমলার সামার হিলের ওই শিবমন্দিরে অন্তত ৫০ জন পুণ্যার্থী জড়ো হয়েছিলেন। ভারী বর্ষার জেরে মন্দিরের একাংশ হঠাৎ করেই হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ে। কংক্রিটের নীচে চাপা পড়ে যান মন্দিরের ভিতরে থাকা পুণ্যার্থীদের অনেকে। এখনও পর্যন্ত ৯টি দেহ উদ্ধার করা গিয়েছে। তবে আরও অনেকে ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা পড়ে রয়েছেন বলে আশঙ্কা প্রশাসনের। হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী টুইট করে এই খবর জানান। শিমলার ডেপুটি কমিশনার আদিত্য নেগি সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন, ভূমিধসের ঘটনায় অনেক মানুষ মাটিচাপা পড়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। অন্য দিকে, ফাগলি এলাকায় বেশ কয়েকটি বাড়ি মাটির নীচে চাপা ধসে গিয়েছে বলেও তিনি জানিয়েছেন।
হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সাধারণ মানুষকে বাড়ির ভিতরে থাকার পরামর্শ দেন। ভূমিধস প্রবন এলাকা থেকে বাসিন্দাদের সরে যেতে বলা হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমান জানতে জেলাশাসকদের সং কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। ভারী বর্ষণে বিপর্যস্ত হিমাচলের সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা। পানীয় জল ও অন্যান্য জরুরি পরিষেবা স্বাভাবিক রাখার আবেদন জানানো হয়েছে। পাশাপাশি এই সঙ্কটসময়ে পর্যটকদের সে রাজ্যে প্রবেশ না করার অনুরোধও তিনি করেছেন।
কয়েক দিন ধরেই হিমাচলে ভারী বৃষ্টিপাত চলছে। গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টির পরিমাণ আরও বেড়েছে। বৃদ্ধি পেয়েছে নদীর জলস্তর। ফুঁসছে খরস্রোতা বিপাশা নদী। মুহুর্মুহু পাহাড়ি ধসে ব্যাহত হয়েছে জনজীবন। বৃষ্টি এবং ভূমিধসের কারণে সে রাজ্যে এখনও পর্যন্ত ৭৫২টি রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে এবং পড়ুয়াদের নিরাপত্তার কথা ভেবে হিমাচলের সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সোমবার থেকে বন্ধ থাকছে।