কলকাতা,২৭ মার্চ — ফের আর এক দুষ্কর্মের ঘটনা ঘটলো তিলজলায়।রবিবার ৭ বছরের একটি ছোট্ট শিশুকে খুন করে যৌন নির্যাতন করার অভিযোগ ওঠে অলোক কুমার নাম ব্যাক্তির ওপর ।পুলিশি জেরায় সে স্বীকার করে যৌন নির্যাতনের পর সে ৭ বছরের শিশুটিকে খুন করেছে। ধৃতের বিরুদ্ধে অপহরণ, খুন ছাড়াও পকসো আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ অভিযুক্ত অলোক কুমার ছিলেন সন্তানহীন। সন্তানলাভের আশাতেই তিনি ৭ বছরের ওই শিশুকে খুন করেছেন। সূত্রের খবর অলোক কুমারের স্ত্রী নিঃসন্তান হওয়ায় তিনি সন্তানলাভের আশায় বিহারের এক তান্ত্রিকের পরার্মশ নেন। ওই তান্ত্রিক অলোককে একটি শিশুর নরবলি দিতে বলেছিলেন। এবং পুলিশি জেরায় অলোক স্বীকার করেন যে তান্ত্রিকের আদেশ মানতে তিনি তার পর থেকে সুযোগ খুঁজছিলেন। পরিবার সূত্রে জানা যায় ,রবিবার সকালে আবর্জনা ফেলার জন্য ফ্ল্যাটের নিচে পাঠানো হয়েছিল শিশুটিকে। কিন্তু তারপর সে আর ফিরে আসেনি। শিশুটি ওপরে ওঠার আগেই তাকে টেনে নেন অলোক।স্থানীয়রা তিলজলা থানায় সামনে বিক্ষোভ দেখায়। পুলিশ সূত্রে খবর, সকাল ৮টা থেকে নিখোঁজ ছিল ওই নাবালিকা। বেলা ১২টায় থানায় অভিযোগ দায়ের করে পরিবার, দাবি পুলিশের। তাদের দাবি, সিসিটিভিতে পাশের বাড়িতে ঢুকতে দেখা গিয়েছিল নাবালিকাকে। কিন্তু তা সত্ত্বেও তল্লাশির পরে ওই নাবালিকার খোঁজ পায়নি পুলিশ। কোনও ব্যবস্থা নেয়নি তারা, এমনও অভিযোগ উঠেছে। পরে পাশের বিল্ডিংয়ের ১টি তালাবন্ধ ফ্ল্যাটে স্যুটকেসের ভিতরে গলা কাটা অবস্থায় উদ্ধার হয় দেহ।
শিশুটির ন্যায় বিচারের দাবিতে স্থানীয়রা বন্ডেল গেটের সামনে অবরোধ করেন এবং অভিযুক্ত কঠিন থেকে কঠিনতম শাস্তি দাবি করেন।